যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। —ফাইল চিত্র।
আবারও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মসমিতির (ইসি) বৈঠক ডাকা হল। আর তা নিয়ে শুরু হয়েছে বিতর্ক।
কারণ ইতিমধ্যেই উচ্চ শিক্ষা দফতর জানিয়ে দিয়েছে, যে-সব বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থায়ী উপাচার্য নেই, সেখানে উচ্চ শিক্ষা দফতরের অনুমতি ছাড়া কর্মসমিতির বৈঠক ডাকা বেআইনি। সেই নিয়ম মেনে এর আগে যাদবপুর কর্তৃপক্ষ বৈঠক স্থগিত করে দিয়েছিলেন। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু তখন জানিয়েছিলেন, বৈঠক ডাকা হলে তাঁরা বিষয়টি সুপ্রিম কোর্টের নজরে আনবেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবি, আসন্ন কর্মসমিতির বৈঠকের জন্যও নতুন করে শিক্ষা দফতরের অনুমতি চাওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, আসন্ন সমাবর্তন অনুষ্ঠানে সাম্মানিক ডিলিট এবং সাম্মানিক ডিএসসি প্রাপকদের প্রস্তাবিত নামের অনুমোদনই ২৪ নভেম্বর যাদবপুরে কর্মসমিতির ওই বৈঠকের মূল আলোচ্য। ডিন কমিটির বৈঠক থেকে প্রস্তাব এসেছে সাম্মানিক ডিলিট দেওয়া হোক অর্থনীতিবিদ বিবেক দেবরায়, নৃত্যশিল্পী সোনাল মানসিং, সমাজকর্মী নিবেদিতা রঘুনাথ ভিড়েকে। মহাকাশ বিজ্ঞানী কপ্পিল্লিল রাধাকৃষ্ণন, ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজ়েশন (ডিআরডিও)-এর চেয়ারম্যান সমীর ভি কামাত, ইন্টারন্যাশনাল সোলার অ্যালায়্যান্সের ডিরেক্টর জেনারেল অজয় মাথুরকে সাম্মানিক ডিএসসি দেওয়ার জন্য প্রস্তাব এসেছে।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের একাংশের বক্তব্য, সাম্মানিক ডিএসসি ও সাম্মানিক ডিলিট আদৌ দেওয়া হবে কি না, তা নিয়ে আগে কর্মসমিতিতে আলোচনা হওয়ার কথা। তা না করে ডিন কমিটির প্রস্তাব সরাসরি অনুমোদনের জন্য কর্মসমিতিতে আসছে। বিষয়টি নিয়ে সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায় বলেন, ‘‘এই বছর যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় সাম্মানিক ডিলিট বা সাম্মানিক ডিএসসি দেবে, এটি বড় পলিসি ডিসিশন। সুপ্রিম কোর্টের মত অনুযায়ী, এই সিদ্ধান্ত ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য নিতে পারেন না। অন্য দিকে কর্মসমিতির বৈঠকই বেআইনি বলছে উচ্চ শিক্ষা দফতর। এই অবস্থায় সম্মানীয় ব্যক্তিদের এনে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে বিশ্ববিদ্যালয়কে কালিমালিপ্ত করার চেষ্টা হচ্ছে।’’
রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু সোমবার জানান, তাঁরা ফের শিক্ষা দফতরের কাছে কর্মসমিতির বৈঠকের অনুমতি চেয়েছেন। দফতরের থেকে এখনও জবাব পাননি। অন্য দিকে উপাচার্য বুদ্ধদেব সাউ এ দিন বলেন, ‘‘ইসি মিটিং বাতিল করলে সমস্যা হবে। এর বিকল্প এখনও কিছু ভাবিনি।’’