বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করলেন বিজেপি বিধায়করা। —নিজস্ব চিত্র।
যাদবপুরকাণ্ডের উত্তাপ ছড়াল বিধানসভার অধিবেশনে। ওয়াক আউট করলেন বিজেপি বিধায়করা।
যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনায় এনআইএ তদন্তের দাবি জানাল বিজেপি।
যাদবপুরের ঘটনায় রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে দুষলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। মঙ্গলবার বিধাসভায় উপাচার্য নিয়োগের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘‘রাজ্যপাল একটি নির্দেশিকা পাঠাতে পারেন। তা কার্যকর করার দায়িত্ব কর্তৃপক্ষের। উপাচার্যকে বসিয়ে সরিয়ে দিচ্ছেন। তার মধ্যে এই ঘটনা (যাদবপুরে ছাত্রমৃত্যু)।’’ এর পরই ব্রাত্য বলেন, ‘‘রাজ্যপাল ১০০ শতাংশ দায়ী।’’ যাদবপুরে মাদকচক্রের অভিযোগ প্রসঙ্গে ব্রাত্য বলেন, ‘‘মাদকচক্রের কথা বলছেন। এটা নারকোটিক্স ব্যুরোর দায়িত্ব।’’ ব্রাত্যের এই মন্তব্যের পাল্টা বিজেপি বিধায়করা বলেন, ‘‘রাজ্যের হাতেও সংস্থা রয়েছে।’’ শিক্ষামন্ত্রীর জবাবে সন্তুষ্ট হননি বিজেপি বিধায়করা। তাঁরা স্লোগান দিতে শুরু করেন। তার পরই বিধানসভা থেকে ওয়াক আউট করেন বিজেপি বিধায়করা।
শুভেন্দুর বক্তব্যের পর শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু বলেন, ‘‘পরিবারের যে ছেলেটি চলে গেল তাকে ফেরাতে পারব না। ২০০৯ সালে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথা বলেছেন। হিমাচলে এক ডাক্তারি ছাত্রকে র্যাগিং করে মেরে ফেলা হয় ২০০২ সালে। রাঘবন কমিটি সেই সময় সুপারিশ করে। সেই সুপারিশ এবং আদালতের নির্দেশ সব বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। এর পরেও দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে র্যাগিং চলছে। খড়্গপুরে র্যাগিং হয়েছে।’’ এর পর রাজ্যপালের প্রসঙ্গ টেনে ব্রাত্য বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যে নতুন রাজ্যপাল এসেছেন। তিনি নিজের ইচ্ছামতো উপাচার্য বসাচ্ছেন।’’ এ কথা শুনে বিজেপি বিধায়করা বলেন, ‘‘আপনি র্য়াগিংয়ের বিষয়ে কথা বলুন।’’
বিরোধী দলনেতা বলেন, ‘‘প্রাক্তন উপাচার্য অভিজিৎ চক্রবর্তী সিসিটিভি লাগাতে চেয়েছিলেন বলে আমাকে জানিয়েছেন। কেন তাঁর মেয়াদ শেষের আগে কেন সরানো হল? মাদক পাচার চক্র এবং দেশ বিরোধী শক্তিদের সরাতে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে? এই ঘটনার পর সরকার কী ব্যবস্থা নেবে?’’
বিধানসভায় শুভেন্দু বলেন, ‘‘বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর নির্দেশে সিসিটিভি লাগানো এবং নিরাপত্তার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। তা পালন করা হয়নি। আমি ১৭ জন বিধায়ককে নিয়ে ছাত্রের মা-বাবার সঙ্গে দেখা করেছি। কেন বিচারপতির নির্দেশ কার্যকর হল না কেন? জবাব দিন ব্রাত্য বসু।’’