প্রতীকী ছবি।
বৈঠকটি ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের অর্থাৎ বিভিন্ন বিভাগের প্রধানদের। অথচ ছাত্রনেতারা সারা ক্ষণ সেখানে বসে নিজেদের বক্তব্য জানিয়েছেন বলে অভিযোগ। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে ইঞ্জিনিয়ারিং ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের এই ঘটনা নিয়ে পরে কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবাদ জানিয়েছেন শিক্ষকেরা।
ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের পঠনপাঠন কী ভাবে শুরু করা যায়, গত রবিবার সেই বিষয়ে ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সেই ভার্চুয়াল বৈঠকে ছিলেন উপাচার্য সুরঞ্জন দাস, সহ-উপাচার্য চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য। সেখানে ইঞ্জিনিয়ারিং ছাত্র সংসদের (ফেটসু) প্রতিনিধিদের বক্তব্য শোনার জন্য ডাকা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রের খবর, ফেটসুর পদাধিকারীরা বক্তব্য জানিয়ে চলে যাননি, শেষ পর্যন্ত বসে থাকেন। শিক্ষক সমিতি (জুটা) কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছে, পড়ুয়ারা যদি এ
ভাবে ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের বৈঠকে বসে থাকেন এবং আলোচনায় যোগ দেন, তা হলে বৈঠক ডাকা অর্থহীন। এটা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনেরও পরিপন্থী। ‘‘এটা হতে দেওয়া যায় না। কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের দাবি, ভবিষ্যতে যেন এমন ঘটনা না-ঘটে,’’ বৃহস্পতিবার বলেন জুটা সম্পাদক পার্থপ্রতিম রায়।
ফেটসুর সভাপতি অরিত্র মজুমদার বলেন, ‘‘আমাদের ডাকা হয়েছিল। করোনা পরিস্থিতিতে পড়াশোনা কী ভাবে হবে, বৈঠকে আমাদের কাছে তা জানতে চাইছিলেন শিক্ষকেরাই। তাই আমরা থেকে গিয়েছিলাম।’’ তার পরে, বুধবার কলা ও বিজ্ঞান ফ্যাকাল্টি কাউন্সিলের যৌথ বৈঠকে কলা ছাত্র সংসদের বক্তব্য শোনা হলেও বিজ্ঞানের ছাত্র সংসদের বক্তব্য সে-ভাবে শোনা হয়নি বলে অভিযোগ।
এ দিকে, স্থগিত ক্লাস ২৩ অগস্ট শুরু করার যে-সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, সেই বিষয়ে উপাচার্যের কাছে আপত্তি জানিয়েছে শিক্ষক সংগঠন আবুটা।