— প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দেশের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে এখন ন্যাশনাল অ্যাসেসমেন্ট অ্যান্ড অ্যাক্রিডিটেশন কাউন্সিল (নাক) দ্বারা মূল্যায়ন করাতে হয়। এর পাশাপাশি অনেক কলেজই এখন আইএসও স্বীকৃতির জন্য আবেদন করছে।
‘ইন্টারন্যাশনাল অর্গানাইজ়েশন ফর স্ট্যান্ডার্ডাইজ়েশন’ (আইএসও) সার্টিফিকেশন করানো হয় সংস্থার বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরির জন্য। আগে শিল্পক্ষেত্রে এই সার্টিফিকেশনের অস্তিত্ব দেখা যেত। এখন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানও এই স্বীকৃতি পাওয়ার জন্য আবেদন করছে।
নিউ আলিপুর কলেজের অধ্যক্ষ জয়দীপ ষড়ঙ্গী জানিয়েছেন, ‘নাক’-ই অন্য সংস্থার থেকে শংসাপত্র পেতে উৎসাহিত করছে। এতে ‘নাক’- এর মূল্যায়নের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত নম্বরও পাওয়া যায়। তাঁদের কলেজের আইএসও শংসাপত্র রয়েছে। তিনি জানালেন, কলেজে যে সব বিষয় পড়ানো হচ্ছে সেগুলি পড়ানোর ক্ষেত্রে পরিবেশ সুরক্ষিত রাখা হচ্ছে, যথাযথ নৈতিকতা বজায় রাখা হচ্ছে, এমন প্রমাণ দিলে এই শংসাপত্র পাওয়া যায়। পরিবেশকে যথাযথ ভাবে রক্ষা করার পাশাপাশি অন্যান্য গুণগত দিক বজায় রাখা এবং তাকে আরও কী করে উন্নত করা যায়, সেই দিকগুলির উপর জোর দিতে হয়ে।
বাসন্তী দেবী কলেজের অধ্যক্ষা ইন্দ্রিলা গুহ জানালেন তাঁরাও এই স্বীকৃতি পেয়েছেন। এই ধরনের স্বীকৃতি, গুণমান নিশ্চিত করতে সাহায্য করে বলে জানিয়েছেন স্কটিশ চার্চ কলেজের অধ্যক্ষা মধুমঞ্জরী মণ্ডল। তিনি জানান স্কটিশচার্চ কলেজ এই স্বীকৃতির জন্য আবেদন করেছে।
মধুমঞ্জরীর কথায়, “কলেজে এখন নিয়মিত গবেষণার কাজ চলছে। গবেষণাগারে যে যন্ত্রপাতি রয়েছে, তা দীর্ঘ দিন ক্যালিব্রেশন (যন্ত্রের গুণমান ঠিক আছে কি না তা দেখার পরীক্ষা) হয় না। ফলে, সেই যন্ত্রগুলি সঠিক ফল দিচ্ছে কি না, তাও বোঝা যাচ্ছে না। আইএসও সার্টিফিকেশনে নিয়মিত সেই ক্যালিব্রেশন হবে।”
এ ছাড়াও প্রতিটি কলেজে অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা থাকলেও তার নিয়মিত অনুশীলন হয় না। এই সার্টিফিকেশনের আওতায় এলে প্রতিটি কলেজকে সেই অনুশীলনও করতে হবে।