বগটুইয়ের গণহত্যার সঙ্গে আনিসের মৃত্যুর তদন্তকে তুলনা করেন নওশাদ। তিনি বলেন, ‘‘সম্প্রতি আনিস খানের হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে সিট গঠন করে প্রহসন করা হয়েছে। ওই ঘটনার এখনও পর্যন্ত কোনও কিনারা হয়নি। এখানেও কি সিট গঠন করে এই মারাত্মক ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী?তবে আদালতের হস্তক্ষেপে এই মুহুর্তে বকটুই গ্রামের এই হত্যাকাণ্ডের সিবিআই তদন্ত হচ্ছে।’’
বগটুইয়ে গিয়ে বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বললেন আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি। নিজস্ব চিত্র
রামপুরহাটের বগটুই গ্রামে দুর্গতদের সঙ্গে দেখা করে সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি, আমতার ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যু নিয়ে রাজ্য সরকারকে কাঠগড়ায় তুললেন আইএসএফ নেতা নওশাদ সিদ্দিকি। শুক্রবার ইন্ডিয়ান সেকুলার ফ্রন্টের (আইএসএফ) চেয়ারম্যান তথা বিধায়ক বগটুই যান। তাঁর নেতৃত্বে আইএসএফের একটি প্রতিনিধিদল বীরভূমে সাঁইথিয়ার বাতাসপুর গ্রামে গিয়ে মিহিলাল শেখের সঙ্গেও দেখা করে। মিহিলাল প্রতিনিধিদলকে সেদিনের ঘটনার কথা জানান। তিনি ওই ঘটনায় নিজের স্ত্রী, কন্যা, মা-সহ কয়েকজন আত্মীয়স্বজনকে হারিয়েছেন বলে দাবি।
নওশাদের প্রশ্ন, ‘‘এই বীভৎস, গা শিউরে ওঠা হত্যাকাণ্ডের নিন্দা জানানোর কোনও ভাষা নেই। মিহিলাল শেখ মুখ্যমন্ত্রীর উপর ভরসা করছেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী কি আদৌ ভরসা করার যোগ্য?তাঁর দলের নেতৃত্বেই তো বীরভূম-সহ রাজ্যের জেলায়, জেলায় তোলাবাজ, গুন্ডাদের দৌরাত্ম্য চলছে।’’ বীরভুম জেলা তৃণমূল সভাপতির প্রসঙ্গ টেনে তাঁর আরও প্রশ্ন,‘‘মুখ্যমন্ত্রী দলের জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের ভয়ে সবাই ভীত। তাঁর নেতৃত্বে এই জেলায় একটি বেআইনি সমান্তরাল অর্থনীতি চলছে। সেই ঘুঘুর বাসা ভাঙবে কে?’’
বগটুইয়ের গণহত্যার সঙ্গে আনিসের মৃত্যুর তদন্তকে তুলনা করেন নওশাদ। তিনি বলেন, ‘‘সম্প্রতি আনিস খানের হত্যাকাণ্ড ধামাচাপা দিতে সিট গঠন করে প্রহসন করা হয়েছে। ওই ঘটনার এখনও পর্যন্ত কোনও কিনারা হয়নি। এখানেও কি সিট গঠন করে এই মারাত্মক ঘটনাকে ধামাচাপা দিতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী?তবে আদালতের হস্তক্ষেপে এই মুহুর্তে বকটুই গ্রামের এই হত্যাকাণ্ডের সিবিআই তদন্ত হচ্ছে।’’
প্রসঙ্গত, আনিস খানের গ্রামে ঢুকতে বাধা দেওয়া হল ফিরহাদ হাকিমকে। গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের জেরে হাওড়ার নিহত ছাত্রনেতার বাড়িতে ঢুকতেই পারলেন না রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র। শুক্রবার বিকেলের দিকে আনিসের পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন ফিরহাদ ও পঞ্চায়েত মন্ত্রী পুলক রায়। সেই মতোই আনিসের বাড়ির উদ্দেশে রওনা দিয়েছিলেন দুই মন্ত্রী। গ্রামে ঢোকার পথেই গ্রামবাসীদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন তাঁরা। ফিরহাদের কনভয়ের সামনে পড়েন এলাকাবাসীরা। তৃণমূল বিরোধী স্লোগান দিতেও শোনা যায় তাঁদের। আনিস ছিলেন আইএসএফের ছাত্র সংগঠনের নেতা।