দেগঙ্গার হামাদামা বাজারে প্রচারে নওসাদ সিদ্দিকী। —নিজস্ব চিত্র।
আবাস যোজনায় ঘরের তালিকা যাচাই করতে গিয়ে নানা জায়গায় বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের বিভিন্ন স্তরের জনপ্রতিনিধিদের। সেই আবহে এ বার আবাস দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেন ভাঙড়ের আইএসএফ বিধায়ক নওসাদ সিদ্দিকী।
নিজের বিধানসভা কেন্দ্রে জনসংযোগ কর্মসূচিতে গিয়ে রবিবার নওসাদের অভিযোগ, ‘‘আমি বিধায়ক হওয়ার পর থেকে ভাঙড়ের এক জন মানুষও আবাসের ঘর পাননি। তৃণমূল নেতারা ২০-৩০ হাজার টাকার বিনিময়ে গরিবের প্রাপ্য বাড়ি নিয়ে নিচ্ছে। বড়লোকেরা সেই বাড়ি পাচ্ছে।’’ তিনি বলেন, ‘‘প্রকৃত গরিব মানুষ, যিনি যোগ্য, তিনি যে দলের হোন না কেন, তিনি যদি আমার সঙ্গে যোগাযোগ করেন, আমি তাঁর পরিচয় গোপন রেখে তাঁর জন্য সর্বোচ্চ লড়াই করে তাঁর প্রাপ্য অধিকার ছিনিয়ে আনব।’’ পাল্টা তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষের মন্তব্য, ‘‘কেন্দ্র আবাসের টাকা না-দেওয়ায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের টাকা থেকে বাংলার বাড়ি করে দিচ্ছেন। বিজেপির ভাষায় কথা বলে বিভ্রান্তি না-ছড়িয়ে উনি বরং কেন্দ্রীয় সরকার কেন আবাসের টাকা দিচ্ছে না, সেই নিয়ে কথা বলুন!’’ দেগঙ্গার হামাদামা বাজারে হাড়োয়া বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের প্রচারে গিয়ে এ দিনই নারী নিগ্রহ, সাম্প্রদায়িকতা-সহ নানা প্রশ্নে বিজেপি ও তৃণমূলকে আক্রমণ করেছেন আইএসএফের চেয়ারম্যান নওসাদ। হাড়োয়া অঞ্চলকে হিংসা ও দুর্নীতিমুক্ত করতে এবং দলিত, আদিবাসী, মুসলিম সংখ্যালঘু এবং অনগ্রসর শ্রেণির হিন্দুদের সামাজিক ন্যায় সুনিশ্চিত করার লড়াই চালাতে বামফ্রন্ট সমর্থিত আইএসএফ প্রার্থী পিয়ারুল ইসলামকে জয়ী করার আবেদন জানিয়েছেন তাঁরা।