High Court

High Court: শিক্ষকদের দিয়ে কি পড়ুয়া সংগ্রহ? তদন্তের মুখে স্কুল

আনিসুর রহমান নামে এক ব্যক্তি আদালতে অভিযোগ করেন, ২০১৭ সাল থেকে তিনি ওই স্কুলে চাকরি করছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ অক্টোবর ২০২১ ০৭:০৮
Share:

প্রতীকী ছবি।

শিক্ষক-শিক্ষিকাদের দিয়ে ‘মার্কেটিং’ বা ছাত্রছাত্রী সংগ্রহের কাজ করানো হচ্ছে কি না, সেই বিষয়ে মধ্যমগ্রামের একটি বেসরকারি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের বিরুদ্ধে তদন্তের নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। সোমবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের নির্দেশ, রাজ্যের শিক্ষা দফতরের উপ-অধিকর্তা (অ্যাংলো ইন্ডিয়ান স্কুল) বা অন্য কোনও উপ-অধিকর্তাকে দিয়ে এই তদন্ত করাতে হবে। সংশ্লিষ্ট উপ-অধিকর্তা স্কুলের বিরুদ্ধে তদন্ত করতে গিয়ে কোনও রকম বাধা পেলে পুলিশের সাহায্য নিতে পারবেন। এ ব্যাপারে মধ্যমগ্রাম থানাকেও নির্দেশ দিয়েছে আদালত। আগামী ২৪ নভেম্বরের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট আদালতে জমা দিতে হবে। সেই দিনেই ফের শুনানি হবে এই মামলার।
আনিসুর রহমান নামে এক ব্যক্তি আদালতে অভিযোগ করেন, ২০১৭ সাল থেকে তিনি ওই স্কুলে চাকরি করছেন। তাঁকে মৌখিক ভাবে চাকরি থেকে বিতাড়িত করা হয়েছে এবং বেতন বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। তাঁর অভিযোগ, স্কুলে পড়ানোর বদলে তাঁকে দিয়ে মার্কেটিংয়ের কাজ করানো হচ্ছিল। তিনি একটি নথি জমা দিয়েছেন, যাতে স্কুলের অধ্যক্ষ তাঁকে জানিয়েছেন, লকডাউন পর্বে তিনি এক জন পড়ুয়াকেও ভর্তি করাতে পারেননি। আদালতের পর্যবেক্ষণ, স্কুলে নিযুক্ত শিক্ষক বা শিক্ষিকাকে কেন মার্কেটিংয়ের কাজে লাগানো হবে, সেটা তা বোধগম্য হচ্ছে না।

Advertisement

অভিযুক্ত স্কুলটি সিবিএসই-র অধীনে পঠনপাঠন চালায়। সিবিএসই-র আইনজীবী এ দিন আদালতে জানান, ২০১৭ সালেই বিভিন্ন রাজ্যে অবস্থিত সিবিএসই-র অধীন স্কুলগুলির শিক্ষক-শিক্ষিকাদের জন্য সার্ভিস এবং ছুটির নিয়মাবলি তৈরি করতে বলা হয়েছিল সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকারগুলিকে। পশ্চিমবঙ্গে তেমন কোনও নিয়মাবলি তৈরি হয়েছে কি না, তা জানা নেই বলে উল্লেখ করেছে আদালত। এই মামলায় রাজ্য সরকারকেও যুক্ত করতে বলেছেন বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement