—ফাইল চিত্র।
সিবিআই-সহ বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থাকে ব্যবহার করে নরেন্দ্র মোদীর সরকার কংগ্রেস, তৃণমূল-সহ বিরোধী বিভিন্ন দলকে ‘হেনস্থা’ করছে বলে বারবারই অভিযোগ করেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কেন সিপিএমকে সেই তালিকায় এখনও দেখা যাচ্ছে না, তা নিয়ে শুক্রবার বিধানসভায় প্রশ্ন তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা।
গণপিটুনি রোধে বিলের আলোচনায় বক্তৃতার মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী সিপিএমকে আক্রমণ করে বলেন, ‘‘এমন কোনও রাজনৈতিক দল দেখিনি যারা আক্রান্ত নয়। একমাত্র সিপিএমকেই দেখি, কোনও তদন্তেই যাদের কাউকে ছুঁয়ে দেখা হয় না। হয় বিজেপির সঙ্গে আপনাদের বোঝাপড়া রয়েছে, নয়তো সুয়োরানি আপনারা!’’ এ কথা শুনেই বামেরা প্রতিবাদ করতে শুরু করেন। বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তীর সঙ্গে তর্কাতর্কি চলতে থাকে মমতার। মুখ্যমন্ত্রী সিপিএমকে ‘দুর্নীতির ঠাকুরদাদা’ বলে কটাক্ষ করে বলতে থাকেন, ‘‘চিটফান্ড শুরু হয়েছিল ১৯৮০ সালে। সঞ্চয়িতা, সারদা কবে হয়েছিল? আপনারা করেছেন।’’ প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অশোক মিত্রর সময়ে চিটফান্ড শুরু হয়েছিল বলে মন্তব্য করেন মমতা। পরে মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে সুজনবাবু বলেন, ‘‘প্রথমে অশোক মিত্র পরে অসীম দাশগুপ্ত অর্থমন্ত্রী থাকাকালীন চিটফান্ডের বিরুদ্ধে এফআইআর করেছিলেন। সে জন্য আমি আমি চ্যালেঞ্জ করছি, হিম্মত থাকলে বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য, সূর্য মিশ্র বা আমাকে গ্রেফতার করে জেলে ঢুকিয়ে দেখান। আপনি এ জন্মেও পারবেন না!’’
তৃণমূলের একের পর এক নেতা, বিধায়ক, সাংসদকে সিবিআই-ইডির নোটিস পাঠানোর উল্লেখ করে মমতা বলেন, ‘‘পি চিদম্বরম থেকে শুরু করে শরদ পওয়ারকে ধরেছে। আমাদের বাড়ি ছেড়ে দিন। আমরা তো দুয়োরানি!’’ সারদা-কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত সুদীপ্ত সেনকে কাশ্মীর থেকে তৃণমূল সরকার গ্রেফতার করেছিল, সে কথারও উল্লেখ করেন মমতা।