নিযুক্ত ব্যক্তির আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেলকে দু’বার সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছিল। প্রথম বার সংশ্লিষ্ট স্কুলে শূন্য পদ না থাকায় দ্বিতীয়বার সুপারিশপত্র দেয় কমিশন।
ফাইল চিত্র।
নিয়োগে অনিয়মের জন্য এ বার এক ইতিহাস শিক্ষকের চাকরি বাতিল করল কলকাতা হাই কোর্ট। মঙ্গলবার বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এই নির্দেশ দিয়েছেন। একইসঙ্গে ওই ব্যক্তিকে নিয়োগের সময় স্কুল সার্ভিস কমিশনের চেয়ারম্যান পদে থাকা সৌমিত্র সরকার এবং অশোককুমার সাহাকে মামলায় যুক্ত করতে বলা হয়েছে।
মামলাকারীদের অভিযোগ, ২০১৯ সালে স্কুলে মাধ্যমিক স্তরে (নবম-দশম শ্রেণি) ইতিহাস বিষয়ের শিক্ষক নিয়োগের প্যানেলে তাঁদের নীচে থাকা ব্যক্তিকে নিয়োগ করা হয়েছে। এ বিষয়ে নিযুক্ত ব্যক্তির আইনজীবী জানান, তাঁর মক্কেলকে দু’বার সুপারিশ পত্র দেওয়া হয়েছিল। প্রথম বার সংশ্লিষ্ট স্কুলে শূন্য পদ না থাকায় দ্বিতীয়বার সুপারিশপত্র দেয় কমিশন। আদালতের খবর, দ্বিতীয়বার সুপারিশপত্র দেওয়ার সময় প্যানেলের মেয়াদ ফুরিয়ে গিয়েছিল। কমিশন প্রথম বার ভুলবশত শূন্য পদ না থাকা স্কুলে নিয়োগের সুপারিশ করেছিল।
এ দিন মামলাকারীদের হয়ে আইনজীবী বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য এবং ফিরদৌস শামিম প্রশ্ন তোলেন, এই ভুল কি ইচ্ছাকৃত নাকি অনিচ্ছাকৃত? ভুল করার আড়ালে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে কিনা, কার্যত তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। তাঁদের অভিযোগ, দু-একটি ঘটনা নয়। এ ভাবে বহু নিয়োগ হয়েছে।
মামলার সওয়াল-জবাবের পরে কোর্ট তৎকালীন চেয়ারম্যান পদে থাকা দু’জনকে মামলায় যুক্ত করতে বলে। ফিরদৌস জানান, কমিশন কারও হাতের পুতুল হয়ে কাজ করেছে বলে আদালতের সন্দেহ। সে ক্ষেত্রে পিছনে থাকা ব্যক্তিদের ভূমিকা প্রকাশ্যে আসা উচিত। এর আগে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায় কমিশনের বিরুদ্ধে একাধিকবার সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। এ বার ব্যক্তিদের বিরুদ্ধেও সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেওয়ার কার্যত হুঁশিয়ারি দিতে শোনা গিয়েছে কোর্টে।
এই প্রথম কোনও শিক্ষকের চাকরি আদালত বাতিল করল এমনটা নয়। নিয়োগে অনিয়মের কারণে সোমবার মুর্শিদাবাদের ছ’জন গণিত শিক্ষকের চাকরি বাতিলের নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।