ফাইল চিত্র।
পশ্চিমবঙ্গের তিন আইপিএস অফিসারের বদলি নিয়ে একের পর এক নেতা কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশে দাঁড়িয়েছেন। তাঁদের কৃতজ্ঞতা জানিয়ে রবিবার টুইট করেছেন মমতা। কৃতজ্ঞতা জানানোর পাশাপাশি, কেন্দ্রকে এই বিষয়ে ফের আক্রমণ করেছেন তিনি। টুইটে তিনি লেখেন, ‘তিন পুলিশ অফিসারকে বদলি করে রাজ্যের প্রশাসনিক কাজে হস্তক্ষেপ করেছে কেন্দ্র।”
গত ১০ ডিসেম্বর ডায়মন্ড হারবারে দলীয় কর্মসূচিতে যোগ দিতে যাওয়ার পথে বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডার কনভয়ে হামলা হয়। হামলার অভিযোগ ওঠে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। তা নিয়ে কেন্দ্র এবং রাজ্যের মধ্যে একটা সঙ্ঘাতের আবহ তৈরি হয়।
নড্ডার নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা তিন আইপিএস অফিসার রাজীব মিশ্র, প্রবীণ ত্রিপাঠী এবং ভোলানাথ পাণ্ডেকে ডেপুটেশনে চেয়ে পাঠায় কেন্দ্র। রাজ্যের আপত্তি সত্ত্বেও ১৭ ডিসেম্বর ওই তিন অফিসারকে বদলি করে কেন্দ্র। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের সঙ্ঘাত চরমে পৌঁছয়।
কেন্দ্রের এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে তীব্র আপত্তি জানিয়ে মমতা টুইট করেছিলেন, ‘রাজ্যের প্রশাসনিক ব্যবস্থাকে কেন্দ্র নিয়ন্ত্রণ করবে, এটা আমরা বরদাস্ত করব না।’ এই ঘটনা নিয়ে মমতাকে সমর্থন করে তাঁর পাশে দাঁড়ান দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরেন্দ্র সিংহ এবং রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী অশোক গহলৌত। তার পর শনিবারই টুইটে কেন্দ্রকে নিশানা করে ছত্তীসগঢ়ের মুখ্যমন্ত্রী ভূপেশ বাঘেল টুইট করেন, ‘দেশের যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো সঙ্কটে। বিজেপি সরকার রাজ্যের প্রশাসনিক ক্ষেত্রে জোর করে হস্তক্ষেপ করে তিন আইপিএস অফিসারকে বদলি করেছে। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। এটা অত্যন্ত আপত্তিজনক ঘটনা’।
বাঘেলের অব্যবহিত পরেই ডিএমকে প্রধান এম কে স্টালিনও আইপিএস ইস্যু নিয়ে মমতার পাশে দাঁড়ান। কেন্দ্রকে আক্রমণ করে তাঁর মন্তব্য, ‘এই ঘটনা যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামোর পরিপন্থী’।