TMC

সভায় আমন্ত্রণ নিয়ে ধোঁয়াশা

শনিবার বিকেলের ফোনে ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শুভাশিস দাস জানলেন, পদবির ‘সামান্য’ ভুলে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ঢোকার ‘বার কোড’-যুক্ত তাঁর আমন্ত্রণ কার্ডটি এসেছে ‘শুভাশিস সরকার’ নামে।

Advertisement

জয়ন্ত সেন

মালদহ শেষ আপডেট: ০১ মার্চ ২০২০ ০৬:১৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

দলের কার কী পদ, কে তৃণমূলে আছেন বা আদৌ ওই দলের সঙ্গে যুক্ত কিনা—এ সব নিয়ে নানা জটিলতায় কলকাতায় তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সোমবারের সভায় আসার জন্য মালদহের ৪৯ জনকে কার্ডই বিলি করল না দল। কেন এই ‘বেহাল’ পরিস্থিতি তা নিয়ে জেলা সভাপতি মৌসম নুর বলেন, ‘‘ভোট কুশলী প্রশান্ত কিশোরের প্রতিনিধি দল সভার বিষয়টি দেখছে। এ নিয়ে আমার কিছু বলার নেই।’’ জেলা নেতাদের একাংশের দাবি, মৌসম দায়িত্ব নেওয়ার পরে দলের এখন কোনও জেলা কমিটিই নেই। অথচ যাঁদের নামে কার্ড এসেছে, দুই শহরের সেই ৪৯ জন ‘ওয়ার্ড সভাপতি’ কোথা থেকে এলেন, কে-ই বা তাঁদের ঠিক করল সেটাই তাঁদের প্রশ্ন।

Advertisement

শনিবার বিকেলের ফোনে ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা শুভাশিস দাস জানলেন, পদবির ‘সামান্য’ ভুলে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে ঢোকার ‘বার কোড’-যুক্ত তাঁর আমন্ত্রণ কার্ডটি এসেছে ‘শুভাশিস সরকার’ নামে। অবাক এবং বিব্রত শুভাশিসবাবু বললেন, ‘‘ওয়ার্ড সভাপতি না হলেও আমি তৃণমূল করি। কিন্তু ফোন তো এল এ দিন। এখন ট্রেনের টিকিটই বা পাব কী করে আর যাবই বা কী করে?’’

ইংরেজবাজারের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা চন্দন দাসের নামেও কার্ড এসেছে। তাঁর দাবি, আগে সিপিআই করতেন। এখন তৃণমূলই করেন। কিন্তু ওই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সুমিতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘এ নামে কেউ দল করেন বলে আমি বা আমাদের ওয়ার্ডের কমিটির কেউ জানি না।’’ পুরপ্রধান নীহাররঞ্জন ঘোষ বলছেন, ‘‘কার্ড কারা পাবেন তা তো পিকের দলই ঠিক করেছে। তবে চন্দন দল করেন বলেই জানি।’’

Advertisement

ওই পুরসভারই ২৮ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বুলু মণ্ডলের দাবি, আগে সিপিএম করলেও এখন তৃণমূল করেন। তিনি বলেন, ‘‘মালদহ থেকে কার্ড দেওয়া হবে না বলে জানানো হয়েছে। কলকাতার ১১২ নম্বর ক্যাম্প থেকে কার্ড জোগাড় করতে হবে। যাব কিনা ঠিক করিনি।’’ তবে তাঁর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রসেনজিৎ ঘোষেরও দাবি, এমন নামে কোনও কর্মীকে চেনেন না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement