জলমগ্ন দক্ষিণ কলকাতার রাস্তা। ছবি: পিটিআই।
এখনই দুর্ভোগ থেকে মুক্তি নেই। একনাগাড়ে বৃষ্টির হাত থেকে সাময়িক স্বস্তি মিলতে পারে আগামী ২৪ ঘণ্টার জন্য। তার পর ফের টানা বৃষ্টিতে ভাসবে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলি। সৌজন্যে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ।
ওই নিম্নচাপের জেরে ১৭ অগস্ট থেকে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি চলছে। আগামী কাল, শনিবার বৃষ্টির গতি কিছুটা কমবে। তবে এখনই একেবারে বৃষ্টির হাত থেকে রেহাই মিলবে না। রবিবার থেকে ফের বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর।
আগামী ২৩ অগস্ট আরও একটি নিম্নচাপ ঘনীভূত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বঙ্গোপসাগরে। তার জেরেই আগামী ২৬ অগস্ট পর্যন্ত ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টি চলার সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন: গানের খাতাই চিনিয়ে দিল উল্টোডাঙার ডালকল শ্রমিকের খুনিকে
শুক্রবার সকাল থেকে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি হওয়ার কারণে কলকাতার বিস্তীর্ণ এলাকা জলে ডুবে গিয়েছে। দক্ষিণের বেহালা, পর্ণশ্রী, ঠাকুরপুকুর থেকে উত্তরের মুক্তারামবাবু স্ট্রিট, ঠনঠনিয়া-সহ বিভিন্ন জায়গায় জল জমতে শুরু করে এ দিন সকাল থেকেই। জল সরানোর জন্য বিভিন্ন জায়গায় পুরসভার তরফে বড় বড় পাম্প বসানো হয়েছে রাস্তায়।
জেলার অবস্থাও অনেকটা একই রকম। বিশেষ করে উপকূলবর্তী জেলাগুলিতে। একই সঙ্গে উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুরের বিভিন্ন এলাকা জলমগ্নও হয়ে রয়েছে। দক্ষিণবঙ্গের প্রায় সব জেলাগুলিতে এমনই জলছবি ফুটে উঠেছে সারাদিন।
প্রবল বৃষ্টিতে জল জমে রয়েছে শহরের বিভিন্ন এলাকায়। ছবি: পিটিআই।
আলিপুর আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, ২১ অগস্ট বৃষ্টির গতি কিছুটা কমবে। বঙ্গোপসাগের ২৩ অথবা ২৪ তারিখের মধ্যে নতুন একটি নিম্নচাপ তৈরি হতে পারে। ২৪ থেকে ২৬ তারিখ ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা থাকছে। টানা বৃষ্টির জেরে নিচু এলাকায় জল জমতে পারে— কলকাতার ক্ষেত্রে এমনই সতর্কতা রয়েছে। নিম্নচাপ তৈরি হওয়ার ফলে, পূর্ব মেদিনীপুর এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনাতে বৃষ্টির পাশাপাশি হাওয়ার গতিবেগ ভালই থাকবে। মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে এই সময়ে।
আরও পড়ুন: ঋণ শোধে ব্যর্থ অনিল অম্বানী, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে প্রশাসক নিয়োগ আদালতের
আলিপুর আবহাওয়া দফতর সূত্রে খবর, গত ১৭ তারিখ থেকে আলিপুর এলাকায় বৃষ্টি হয়েছে ১১৬.২ মিলিমিটার। দমদমে ৯৭ মিলিমিটার এবং সল্টলেকে ৭৩ মিলিমিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ওই এলাকাগুলিতে যথাক্রমে বৃষ্টি হয়েছে ৬০.১, ৪৭.৫, ৫১.৬ মিলিমিটার।