—প্রতীকী ছবি।
একাদশ থেকে দ্বাদশে ওঠার প্রশ্নপত্র তৈরি করতে হবে স্কুলকেই, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। অভিযোগ, প্রধান শিক্ষকদের একটি সংগঠন একশোটির বেশি স্কুলের জন্য ওই প্রশ্নপত্র তৈরি করছে। এমনকি কী ভাবে এই প্রশ্ন হবে, তার একটি নিয়ামাবলিও তৈরি করেছে। বিষয়টা উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের নজরে এলেও তারা নিশ্চুপ।
আগের বছরগুলোতে সংসদের তৈরি দ্বাদশে ওঠার প্রায় সমস্ত বিষয়ের প্রশ্নই পরীক্ষার আগে ফাঁস হয়ে যাওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। প্রশ্ন উঠেছে, সংসদের প্রশ্নই যদি ফাঁসের অভিযোগ ওঠে, তা হলে এ ভাবে একটি শিক্ষক সংগঠন প্রশ্ন তৈরি করলে তা কতটা গোপনীয় থাকবে? তা ছাড়া একটি শিক্ষক সংগঠনের প্রশ্নের ক্ষেত্রে একটা ব্যবসায়িক দিকও থেকে যাচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে।
এতদিন এই প্রশ্ন তৈরি করত সংসদই। সংসদের সভাপতি চিরঞ্জীব ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘আমরা ওয়েবসাইটেও বলেছি, প্রশ্ন স্কুলকে তৈরি করতে হবে। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার সময় যেহেতু এগিয়ে এসেছে তাই স্কুলের সুবিধার্থে আমরা বলেছি আগের মতোই উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার দিন দ্বিতীয়ার্ধে একাদশ থেকে দ্বাদশের পরীক্ষা নেওয়া যাবে।’’
দ্বাদশের প্রশ্ন তৈরির ওই অভিযোগ প্রধান শিক্ষকদের সংগঠন ‘অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টারস অ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস’-এর বিরুদ্ধে উঠেছে। যে সব স্কুল এই প্রশ্ন কিনবে, তাদের পরীক্ষার রুটিনও তৈরি করে দিয়েছে তারা। ৩৩টি বিষয়ের কোন প্রশ্নের কত মূল্য তা দ্রুত বলে দেওয়া হবে। প্রশ্ন পাওয়ার আগে নির্দিষ্ট ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা দিতে হবে।
সংগঠনের রাজ্য সভাপতি চন্দন মাইতি বলেন, ‘‘অনেক স্কুলের প্রশ্ন তৈরির সামর্থ্য নেই। অনেক স্কুলের ছাত্রসংখ্যা এতটাই কম যে তাদের কয়েকটা প্রশ্ন তৈরি করতে গেলে পড়তায় পোষাবে না। সংগঠনের থেকে প্রশ্ন পেলে তাদের সুবিধাই হবে। রাজ্য জুড়ে ১০০টির বেশি স্কুলের প্রশ্ন আমরা তৈরি করছি। স্কুলগুলো থেকে ভাল সাড়া পাচ্ছি।’’
পর্ষদের নির্দেশ না-মেনে শিক্ষক সংগঠন প্রশ্ন তৈরি করছে জেনেও কেন চুপ তাঁরা? সংসদের এক কর্তা বলেন, ‘‘আমরা প্রত্যেক স্কুলকে আলাদা আলাদা করে প্রশ্ন তৈরি করে তা সংসদে পাঠাতে বলেছি। সে ক্ষেত্রে প্রতিটি স্কুলের আলাদা প্রশ্ন হওয়া উচত। সেই প্রশ্ন দেখে তার পর মন্তব্য করব।’’