অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের দিয়ে ফের রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলিকে সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রতীকী ছবি।
অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের দিয়েই এ বার রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলিকে সচল করতে উদ্যোগী হল গ্রন্থাগার দফতর। সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারগুলি কর্মীর অভাবে ভুগছে। সেই পরিস্থিতি কাটাতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আপাতত অবসরপ্রাপ্তদের পুনরায় নিযুক্ত করে এই সমস্যার সমাধান করা হবে। রাজ্যের গ্রন্থাগারগুলিতে ৭৩৮টি পদে নিয়োগের জন্য অর্থ দফতর অনুমোদন দেওয়ায় ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছিল। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়ায় জটিলতা তৈরি হওয়ায় এখনও তা বাস্তবায়িত হয়নি। আর সেই কারণেই অবসরপ্রাপ্ত কর্মীদের দিয়ে ফের গ্রন্থাগারগুলিকে সচল করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি গ্রন্থাগার দফতর এ ব্যাপারে জেলাস্তরের গ্রন্থাগারগুলির আধিকারিকদের এই মর্মে নির্দেশ দিয়েছেন। গত ২ বছরে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারগুলি থেকে অবসর নেওয়া কর্মীদের তালিকা বুধবারের মধ্যে দফতরে জমা দিতে বলা হয়েছে। সরকারের এমন সিদ্ধান্তে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন জনসাধারণের গ্রন্থাগার ও কর্মী কল্যাণ সমিতির আহ্বায়ক মনোজ চক্রবর্তী। তাঁর কথায়, ‘‘অবসরপ্রাপ্তদের নিযুক্ত করে সাময়িকভাবে গ্রন্থাগারগুলি চালু করা সম্ভব। এতে পাঠকের সুবিধা হবে। তবে পাকাপাকি সমাধানের জন্য দ্রুত স্থায়ী কর্মী নিয়োগ খুবই প্রয়োজন।’’
বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে সরকারি সাহায্যপ্রাপ্ত গ্রন্থাগারের সংখ্যা ২৪৮০টি। সেখানে কর্মীর পদ প্রায় ৫,৫০০টি। সেখানে এখন চার হাজারের কিছু বেশি শূন্যপদ রয়েছে। গ্রন্থাগারিক-সহ কর্মীদের সংখ্যা পর্যাপ্ত না থাকায় গ্রন্থাগার চালাতে সমস্যা হচ্ছে। তাই অবসরপ্রাপ্তদের মধ্যে থেকে অভিজ্ঞ ও প্রশিক্ষিত কর্মী পাওয়া গেলে এই ধরনের সমস্যা অনেকটা মিটে যাবে বলেই মনে করা হচ্ছে। মূলত সরকারি গ্রন্থাগারে কর্মজীবনে দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন, অবসরের পর কাজ করতে ইচ্ছুক এবং শারীরিক ভাবে সক্ষম এমন কর্মীদের নামের তালিকা পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।