তথ্য সুরক্ষায় প্রযুক্তিগত দিক যেমন জরুরি, তেমনই জরুরি আইনগত বিষয়ও। এই দুয়ের সমন্বয়েই সাইবার জগতে থাকা কোটি-কোটি নাগরিকের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সুরক্ষিত রাখতে হবে বলে জানালেন কর্পোরেট জগতের দুঁদে তথ্য আধিকারিকেরা। শনিবার এবিপি গোষ্ঠী আয়োজিত ইনফোকমের মঞ্চে ‘ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট, ২০২৩’ সংক্রান্ত আলোচনাসভায় তাঁরা জানান, গ্রাহকের তথ্য সুরক্ষিত রাখার বিষয়টি কর্পোরেট সংস্থাগুলির কাছে গুরুত্বপূর্ণ। তথ্য সুরক্ষার প্রশিক্ষণ সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মীদের থাকা উচিত। তথ্য সুরক্ষা আইনের ব্যাপারে সংস্থার শীর্ষকর্তাদের পর্যাপ্ত জ্ঞান প্রয়োজন।
এ দিন আলোচনার শুরুতেই সঞ্চালক ‘ইন্ডিয়ান স্কুল অব অ্যান্টি হ্যাকিংয়ের’ প্রতিষ্ঠাতা-ডিরেক্টর সন্দীপ সেনগুপ্ত জানান, দেশজুড়ে সাইবার প্রতারকেরা নাগরিকদের ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নিচ্ছে। তথ্য সুরক্ষা এবং নাগরিক সচেতনতা, এই দুয়ের ফাঁক গলেই ব্যক্তিগত এবং গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দুষ্কৃতীদের হাতে চলে যাচ্ছে। এ দিনই বিকেলের অন্য একটি সভায় ‘ইন্ডিয়ান স্কুল অব অ্যান্টি হ্যাকিংয়ের’ অন্যতম ডিরেক্টর গুলাব মণ্ডল হাতেকলমে দেখান যে কী ভাবে সুরক্ষার ফাঁক গলে বিভিন্ন বড় মাপের সংস্থার সার্ভারে হ্যাকার হানা হতে পারে।
সাইবার প্রযুক্তি এবং অনলাইন পরিষেবার দুনিয়ায় যাতে নাগরিকদের তথ্য সুরক্ষিত থাকে তার জন্যই ‘ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রটেকশন অ্যাক্ট, ২০২৩’ আনা হয়েছে। সেই সংক্রান্ত আলোচনাসভায় এ দিন একটি কর্পোরেট সংস্থার চিফ ইনফরমেশন সিকিয়োরিটি অফিসার কৌশিক সাহা জানান, কর্মী, প্রক্রিয়া এবং প্রযুক্তি, এই তিনের সমন্বয়েই তথ্য সুরক্ষিত রাখতে হবে। এই নিয়ম চালুর জন্য এক মুহূর্তও অপেক্ষা করা যাবে না। একটি গৃহঋণ সংস্থার চিফ ইনফরমেশন সিকিয়োরিটি অফিসার প্রকাশকুমার রঞ্জনের মতে, এই তথ্য সুরক্ষার ব্যাপারে গ্রাহকদেরও জানাতে হবে। একটি অনলাইন পরিষেবা সংস্থার এগজ়িকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট জয়প্রকাশ শর্মা বলেন যে আইনজীবী এবং ইঞ্জিনিয়ার, এই দুই দলের সাহায্য তথ্য সুরক্ষা আইনকে বোঝা প্রয়োজন। শুধু তথ্য সংরক্ষণের ক্ষেত্রে সুরক্ষা নয়, গ্রাহকের তথ্য যাতে ঠিক মতো মুছে ফেলা যায় সে দিকেও নজর দিতে হবে।