সাংবাদিক বৈঠকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটদানে বিরত থাকবে তৃণমূল। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে এ কথা জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি জানান, তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ৮৫ শতাংশ তৃণমূল সাংসদ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তাঁরা মমতাকে জানিয়েছেন, আলোচনা না করেই বিরোধী প্রার্থী ঠিক করা হয়েছে। তাই ভোটদান থেকে তাঁরা বিরত থাকবেন।
অভিষেকের কথায়, এনডিএ প্রার্থীকে সমর্থন করার প্রশ্নই ওঠে না। আবার বিরোধী প্রার্থী কে হবেন, সেই সিদ্ধান্ত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে আলোচনা না করেই নেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘‘এনডিএ যাঁকে প্রার্থী করেছে, সেই জগদীপ ধনখড়ের কী দৃষ্টিভঙ্গি ছিল সবাই দেখেছেন। তাই এ নিয়ে আজ কোনও মন্তব্য করব না। কিন্তু যে ভাবে প্রার্থী নির্বাচন করা হয়েছে তা ঠিক নয়।’’ তিনি আরও জানান, তৃণমূলের প্রায় সমস্ত সাংসদই এই ভোটদান প্রক্রিয়া থেকে বিরত থাকার পক্ষে মত দিয়েছেন। সর্বসম্মতিতেই এ নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল।
অভিষেক বলেন, ‘‘মমতার সঙ্গে মার্গারেট আলভার সম্পর্ক ভাল। কিন্তু হঠাৎ করেই প্রার্থী নির্বাচন হয়েছে। কংগ্রেস থেকে বৈঠক কী ভাবে শরদ পওয়ারের বাড়িতে গেল? আমাদের ভাবনাতেও চার পাঁচটি নাম ছিল। আমাদের কারও নামে অ্যালার্জি নেই। কিন্তু যে ভাবে প্রার্থী চয়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে তা সঠিক নয়।’’
আগামী ৬ অগস্ট দেশের উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচন। এ বার এই নির্বাচনে এনডিএ শিবির প্রার্থী করেছে জগদীপ ধনখড়কে। এই মনোনয়ন পাওয়ার অব্যবহিত পরেই বাংলার রাজ্যপালের পদ থেকে ইস্তফা দেন ধনখড়। অন্য দিকে, গত ১৯ জুলাই উপরাষ্ট্রপতি নির্বাচনে বিরোধী শিবিরের প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র জমা দেন মার্গারেট আলভা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন রাহুল গাঁধী, শরদ পওয়ার, সীতারাম ইয়েচুরি, মল্লিকার্জুন খড়্গের মতো বিরোধী নেতারা। তৃণমূলের দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে না জানিয়েই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।