প্রতীকী ছবি।
রেলমন্ত্রীর প্রত্যাশিত লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১৪৭৫ মিলিয়ন টন। সেই লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করতে না-পারলেও সদ্য-সমাপ্ত চলতি আর্থিক বছরে নজিরবিহীন ভাবে পণ্য পরিবহণ বাড়িয়েছে রেল। কোনও অর্থবর্ষে ভারতীয় রেল এই প্রথম ১৪০০ মিলিয়ন টন পণ্য পরিবহণের গণ্ডি ছাড়িয়ে গেল। ২০২১-২২ অর্থবর্ষে মোট ১৪১৮.১০ মিলিয়ন টন পণ্য বহন করেছে তারা। বিগত আর্থিক বছরের (২০২০-২১) ১২৩৩.২৪ মিলিয়ন টনের তুলনায় ওই পরিমাণ প্রায় ১৫ শতাংশ বেশি।
সদ্য-সমাপ্ত অর্থবর্ষে পণ্য পরিবহণ থেকে ১,৪৩,৭৩২ কোটি টাকা আয় করেছে রেল। বিগত ২০২০-২১ আর্থিক বছরে পণ্য পরিবহণ থেকে তাদের আয় হয়েছিল ১,২৪,১৮৪ কোটি টাকা। প্রাক্-করোনা পরিস্থিতিতে ২০১৮-১৯ অর্থবর্ষে রেল সর্বাধিক ১,২৭,৪৩০ কোটি টাকা আয় করেছিল। এ বার আয়ের অঙ্ক তার তুলনায় ১৬ হাজার কোটি টাকার বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। পরবর্তী আর্থিক বছরে (২০২২-২৩) ১৪৭৫ মিলিয়ন টন পণ্য পরিবহণ এবং ওই খাতে ১,৬৫,০০০ কোটি টাকা আয়ের লক্ষ্যমাত্রা ধার্য করা হয়েছে বলে রেল সূত্রের খবর। সদ্য-সমাপ্ত অর্থবর্ষে অতিরিক্ত পরিবাহিত ১৮৫ মিলিয়ন টন পণ্যের মধ্যে শুধু কয়লাই ছিল ১১১ মিলিয়ন টন। এ ছাড়াও সিমেন্ট এবং অন্যান্য পণ্য বহনের পরিমাণ বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।
রেল সূত্রের খবর, ইস্পাত, আকরিক-সহ বিভিন্ন পণ্য পরিবহণ বাড়লেও রাসায়নিক সার পরিবহণের পরিমাণ অন্যান্য বছরের তুলনায় কমেছে। ৫৪.১ মিলিয়ন টন থেকে কমে ৪৯.৫ মিলিয়ন টনে ঠেকেছে ওই পরিমাণ। রেলের সব জ়োনের মধ্যে সর্বাধিক ২৩২.১৩ মিলিয়ন টন পণ্য বহন করেছে পূর্ব উপকূল রেল। তাদের আয় ২৩,০১২.৩২ কোটি টাকা। তার পরে দক্ষিণ-পূর্ব মধ্য রেল প্রায় ২১২ মিলিয়ন টন পণ্য পরিবহণ করে ২২,৯৪৩.৩৬ কোটি টাকা আয় করেছে। প্রায় ১৯৫ মিলিয়ন টন পণ্য পরিবহণ করে তৃতীয় স্থানে রয়েছে দক্ষিণ-পূর্ব রেল। তাদের আয়ের অঙ্ক ১৬,৩৫২.২৮ কোটি টাকা। কিছুটা পিছনের দিকে রয়েছে পূর্ব রেল। ৭৬.১০৮ মিলিয়ন টন পণ্য বহন করে তাদের আয় ৫৯০৫.৯৬ কোটি টাকা।