India

সম্প্রীতি এল, খুশির পরশ দু’পারেই

শান্তনু জানান, লকডাউনের কারণে বাংলাদেশ থেকে তাঁর স্ত্রীর আত্মীয়-পরিজনেরা কেউ আসতে পারেননি।

Advertisement

সুমন মণ্ডল

দিনহাটা শেষ আপডেট: ২৫ অগস্ট ২০২০ ০৪:০৪
Share:

সম্প্রীতি।

ফেসবুকের মাধ্যমে দিয়ে প্রথম পরিচয়। সেখান থেকে আলাপ, পরে ভালবাসা, পরিণয়ও। একজনের বাড়ি বাংলাদেশের চট্টগ্রামে। আর অন্যজনের বাড়ি দিনহাটা বড় আটিয়াবাড়ি এলাকায়। দু’জনের প্রেমে কাঁটাতার বাধা হয়নি। বছর দেড়েক আগে বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সুস্মিতা বণিক এবং দিনহাটা বড় আটিয়াবাড়ির শান্তনু সরকারের বিয়ে ঘটনাটা এমনই গল্পের মতো। গত শনিবার, দিনহাটা শহরের এক বেসরকারি নার্সিংহোমে চিকিৎসক উজ্জ্বল আচার্যর তত্ত্বাবধানে সুস্মিতার কন্যা সন্তান হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে তার নাম রাখা হয়েছে সম্প্রীতি। শান্তনু জানান, লকডাউনের কারণে বাংলাদেশ থেকে তাঁর স্ত্রীর আত্মীয়-পরিজনেরা কেউ আসতে পারেননি। কিন্তু তাঁরা প্রতিমুহূর্তে টেলিফোনে যোগাযোগ রাখছেন।

Advertisement

পেশায় ব্যবসায়ী শান্তনু জানান, ২০১৫ সালের ডিসেম্বর মাসে ফেসবুকে তার এক বন্ধুর একটি পোস্টে সুস্মিতা বণিক নামে একজন মহিলা মন্তব্য (কমেন্ট) করেছিলেন। মন্তব্যটি তাঁর খুব ভাল লেগেছিল। সুস্মিতার সেই মন্তব্যের উপরে তিনিও পাল্টা একটি মন্তব্য করেন। তার সঙ্গে সুস্মিতাকে বন্ধু হওয়ার অনুরোধ পাঠান। সুস্মিতা তাঁর অনুরোধ গ্রহণ করেন। তারপর থেকে প্রায়ই তাঁদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বার্তালাপ চলতে থাকে। শান্তনু জানালেন, সেখান থেকেই একে অন্যকে ভাললাগা শুরু।

ভাললাগা, ভালাবাসায় পৌঁছে যায় অল্প কিছুদিনের মধ্যেই। সে খবরও রটে যায় দুই বাড়ির অন্দরমহলে। এর পর দুই বাড়ির সম্মতিতে ২০১৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি তাঁদের বিয়ে হয়। শান্তনু দিনহাটা থেকে পাসপোর্ট ও ভিসা করে আট জন বরযাত্রী নিয়ে সুস্মিতাকে বিয়ে করতে গিয়েছিলেন বাংলাদেশে। দুই দেশের ইতিহাস থেকে ধার করে তাই কন্যার সম্প্রীতি নাম দিয়েছেন বলে শান্তনু জানালেন। কন্যা হওয়ায় দুই পরিবারই খুব খুশি বলে জানান তিনি।

Advertisement

চিকিৎসক উজ্জ্বল আচার্য জানান, ভালবাসাতো কোনও গণ্ডি, বেড়া কিছুই মানে না। শান্তনু আর সুস্মিতার ক্ষেত্রেও তাই হয়েছে। মা ও সদ্যোজাত দু’জনেই সুস্থ রয়েছেন বলে তিনি জানান।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement