ছবি এপি।
লকডাউনের মধ্যেই ৪০ দিন পরে ক্যানসার আক্রান্ত ছেলেকে নিয়ে ভেলোর থেকে বাড়ি ফিরলেন এক রেলকর্মী। তবে এই পরিস্থিতিতে ছেলের চিকিৎসা নিয়ে উদ্বিগ্ন তিনি!
খড়্গপুরের নিমপুরার বাসিন্দা পেশায় রেলকর্মী রাজেশ বাবু তামিলনাড়ুর ভেলোর থেকে গত বুধবার ছেলেকে নিয়ে ফিরেছেন। গত ৬ মার্চ বছর তেইশের ছেলে রাহুলের চিকিৎসার জন্য ভেলোরের সিএমসি হাসপাতালে গিয়েছিলেন তিনি। সব পরীক্ষার পরে গত ২০ মার্চ রাহুল গলার ক্যানসারে আক্রান্ত বলে জানান চিকিৎসকেরা। পরে দেশজুড়ে লকডাউনে আটকে যান তাঁরা। ক্যানসার রোগীর প্রতিরোধ ক্ষমতা কম হওয়ায় করোনা সংক্রমণের আশঙ্কাও যথেষ্ট বেশি। তাই হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা চালালেও সংক্রমণের আশঙ্কা থাকছে। ওই রেলকর্মীর দাবি, এই যুক্তিতেই ভেলোরে সিএমসি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ছেলেকে ভর্তি রাখতে চাননি।
বাধ্য হয়েই খড়্গপুরে ফেরার তোড়জোড় শুরু করেন। কিন্তু লকডাউনে বাড়ি ফেরার উপায় খুঁজে পাচ্ছিলেন না তিনি। শেষমেশ এক অ্যাম্বুল্যান্স চালক এগিয়ে আসেন। প্রায় ১ লক্ষ টাকা ব্যয়ে ওই অ্যাম্বুল্যান্স ভাড়া করেই ছেলেকে নিয়ে বুধবার খড়্গপুরে পৌঁছন রাজেশ। তিনি বলেন, “সব মিলিয়ে এখনও পর্যন্ত ২ লক্ষ টাকা খরচ হয়েছে। অ্যাম্বুল্যান্স ১ লক্ষ টাকা নিয়েছে। ছেলে নিয়ে এমন পরিস্থিতিতে বাড়ি ফিরতে পারলাম এটাই বড় কথা।”
বাড়িতে ফিরলেও করোনার সঙ্কটজনক পরিস্থিতিতে উদ্বেগ কাটছে না কিছুতেই। রাজেশ বাবু বলেন, “একদিকে করোনা নিয়ে ভয় হচ্ছে। তার পরে এই অবস্থায় ছেলের ক্যানসারের চিকিৎসার কী হবে সেটাই ভাবছি।” এমন অবস্থায় দ্রুত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হোক, এখন এই প্রার্থনা করছে ক্যানসার আক্রান্ত রাহুলের পরিবার।