সোচ্চার: রবিবারও মিছিলে উত্তপ্ত থাকল পাহাড়। দার্জিলিঙের চকবাজারেও মিছিল করলেন মোর্চা কর্মী-সমর্থকরা। রবিবার। ছবি: সন্দীপ পাল
মোর্চার ডাকা ডুয়ার্স বন্ধে খোলা থাকল অধিকাংশ বাজার-হাট, রাস্তায় দেখা মিলল বেসরকারি বাসেরও।
রবিবার হাটবারে মাদারিহাট, বানারহাট, গয়েরকাটায় দোকান-বাজার স্বাভাবিক খোলা ছিল। তবে বন্ধ ছিল বীরপাড়া ও ভুটান সীমান্ত চামুর্চির হাট ও দোকানপাট। সকালের দিকে বানারহাট, বীরপাড়া হয়ে ভুটান যাওয়ার সড়কে কয়েক জায়গায় মোর্চার সমর্থকরা রাস্তায় পতাকা লাগিয়ে পিকেটিং শুরু করলে পুলিশ তা সরিয়ে দেয়। পিকেটিংয়ের ফলে বন্ধ ছিল মাদারিহাট হয়ে টোটোপাড়া যাওয়ার রাস্তা। গয়েরকাটা, বীরপাড়া, মাদারিহাট দিয়ে যাওয়া অসমগামী ৩১ নম্বর জাতীয় সড়কে দুরপাল্লার লরি চলাচল করলেও ডুয়ার্সের সর্বত্র অবশ্য সরকারি-বেসরকারি বাস চলেনি। দুপুরের পরে বানারহাট থেকে কয়েকটি বেসরকারি ছোট বাস চলতে দেখা গিয়েছে। কাজ হয়েছে চা বাগানেও। অশান্তির আশঙ্কায় ডুয়ার্স হয়ে ভুটান প্রবেশের গোমটু ও সামসি গেট বন্ধ ছিল দিনভর। এ দিন কোনও গাড়ি বা মানুষজন ভুটান যায়নি বা ভুটান থেকে ভারতে ঢোকেনি। বন্ধ ছিল শান্তিপূর্ণ।
সকালে পথ অবরোধ চলে ডুয়ার্সের দলসিংপাড়া ও জয়গাঁও এলাকায়। রবিবার সকাল থেকে হাসিমারা জয়গাঁও সড়কে দলসিংপাড়া বাজারে দলীয় পতাকা নিয়ে পথ অবরোধে বসেন মোর্চার সমর্থকরা। জয়গাঁ এলাকাতেও এ দিন দোকান পাঠ বন্ধ ছিল। কালচিনিতেও জনজীবন মোটের উপর স্বাভাবিক ছিল। যানবাহন কম চলাচল করে। হাসিমারা এলাকায় ছোট গাড়ি চলাচল করে। দোকানপাট ছিল খোলা। জয়গাঁ মঙ্গলবাড়ি এলাকায় সকাল থেকে কয়েকশো মোর্চা সমর্থক রাস্তার দু’ধারে বসে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে বিক্ষোভ করেন। জয়গাঁতে এ দিন সকাল থেকে মোরবাইক চলাচলও বন্ধ রেখেছিলেন মোর্চা সমর্থকরা। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে তা ওঠে। মঙ্গলবাড়ি এলাকায় বেলা সাড়ে এগারোটা নাগাদ একটি বিয়েবাড়ির বাস সহ চারটি ছোট গাড়িকে জয়গাঁ যাওয়ার অনুমতি দেন মোর্চা সমর্থকরা। বিকেল চারটে পর্যন্ত টানা চলে পথ অবরোধ।
আলিপুরদুয়ারের পুলিশ সুপার আভারু রবীন্দ্রনাথ জানান, ‘‘সব জায়গায় গাড়ি চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।’’ কালচিনি এলাকায় তিন জন মোর্চা সমর্থককে আটক করেছে পুলিশ। দলসিংপাড়ার মোর্চা নেতা কিরণ সেবা জানান সকাল, থেকে পথ অবরোধ ছিল। মোটরবাইক চলাচল করলেও বন্ধ সফল হয়েছে। মঙ্গলাবাড়ি এলাকার মোর্চা নেতা গোপাল সুয়েল জানান, জয়গাঁ বাজার বন্ধ ছিল। এলাকায় গাড়ি চলাচল করেনি। তবে তৃণমূলের জেলা সভাপতি মোহন শর্মা জানান, ‘‘বন্ধের তেমন প্রভাব পড়েনি। পথ অবরোধের চেষ্টা হয়, উঠেও যায়।’’