ইতিমধ্যেই মেলায় ভিড় করতে শুরু করেছেন পুণ্যার্থীরা। ফাইল চিত্র।
শুরু হল গঙ্গাসাগর মেলা। মঙ্গলবার বিকেলে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্ত। সঙ্গে ছিলেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা।
ইতিমধ্যেই মেলায় ভিড় করতে শুরু করেছেন পুণ্যার্থীরা। গত দু’বছর করোনার জন্য উৎসবে কিছুটা ভাটা পড়েছিল। এ বার পরিস্থিতি অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। প্রশাসনিক কিছু নিয়ম-কানুন ছাড়া কোভিড বিধি আপাতত আরোপ করা হয়নি। মেলায় ৪০ লক্ষ মানুষ আসতে পারেন বলে মনে করছে প্রশাসন। প্রশাসন সূত্রের খবর, এ বছর পুণ্যস্নান শুরু হচ্ছে ১৪ জানুয়ারি, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায়। চলবে ১৫ জানুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা ৫৩ মিনিট পর্যন্ত।
মেলা উপলক্ষে ২২৫০টি সরকারি ও ৫০০ বেসরকারি বাস চালু থাকবে বলে প্রশাসন সূত্রের খবর। জলপথে ৪টি বার্জ, ৩২টি ভেসেল ও ১০০টি লঞ্চ চলবে। নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে ১০টি অস্থায়ী দমকল চালু হয়েছে। মোতায়েন থাকছে ২৫টি ইঞ্জিন।
কলকাতার বাবুঘাট থেকে গঙ্গাসাগর পর্যন্ত বসানো হয়েছে ১১০০ সিসি ক্যামেরা। ড্রোনের সাহায্যে আকাশপথে ও স্পিড বোটেও নজরদারি চলবে।
১২, ১৩ ও ১৪ জানুয়ারি সমুদ্র-আরতির ব্যবস্থা হয়েছে। এই প্রথম বার অস্থায়ী দোকানগুলির খাবারের গুণগত মান যাচাইয়ের ব্যবস্থা থাকছে। গঙ্গাসাগরে আসা পুণ্যার্থীদের হাতে তুলে দেওয়া হবে রাজ্য সরকারের বিশেষ শংসাপত্র। মঙ্গলবার এর উদ্বোধন করেন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা। তিনি নিজে শংসাপত্র নেন। পুণ্যার্থীদের জন্য ৫ লক্ষ টাকার বিমাও চালু করেছে প্রশাসন।
মেলা প্রাঙ্গণে ইতিমধ্যে পসরা সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। দু’বছরের খরা কাটিয়ে এবার তাঁরাও লক্ষ্মীলাভের আশায়। কপিলমুনির মন্দির চত্বরে ১৩০টি পুজোর সরঞ্জামের স্থায়ী দোকান রয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে অনেকেই দোকান বন্ধ করে অন্য কাজ বেছে নিয়েছিলেন। এ বার মেলার আগে তাঁরা ফিরেছেন পুরনো পেশায়।