জহর সরকারকে নিয়ে জল্পনা তৃণমূলে। ফাইল চিত্র
রাজ্যসভায় তৃণমূলের পুরনো হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ভেঙে তৈরি করা হল নতুন একটি গ্রুপ। শনিবার রাতে রাজ্যসভার ওই গ্রুপটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে বলেই খবর। এই মূহূর্তে রাজ্যসভায় তৃণমূলের ১৩ জন সাংসদ রয়েছেন। তাঁদের নিয়েই একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ আগে থেকেই তৈরি ছিল। রাজ্যসভার এক তৃণমূল সাংসদ জানিয়েছেন, বিশেষ প্রয়োজনে পুরনো হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপটি ভেঙে নতুন গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে।
এর পরেই রটে যায়, সম্প্রতি দলের প্রসঙ্গে বিরূপ মন্তব্য করায় তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে প্রাক্তন আমলা তথা রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকারকে। তৃণমূলের এক জাতীয় স্তরের নেতা অবশ্য জানিয়েছেন, কাউকে কোনও হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে বাদ দেওয়া হয়নি। এ সব কিছুই রটনা, পুরনো হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যাঁরা ছিলেন, তাঁদের সকলকে নিয়েই আবারও নতুন গ্রুপ তৈরি করা হয়েছে।
২০২১-এর ফেব্রুয়ারি মাসে রাজ্যসভার থেকে পদত্যাগ করেন তৃণমূল সাংসদ দিনেশ ত্রিবেদী। তাঁর জায়গায় রাজ্যসভায় পাঠানো হয় প্রাক্তন আমলা জহরকে। সম্প্রতি তিনি বেশ কিছু সংবাদমাধ্যমে দলের সমালোচনা করে মুখ খোলেন। সাসপেন্ডেড নেতা পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের ফ্ল্যাট থেকে কোটি কোটি টাকা উদ্ধার থেকে শুরু করে পার্থের একাধিক বান্ধবীর নামে বিভিন্ন সম্পত্তির হদিস মেলা নিয়ে তীব্র উষ্মা প্রকাশ করেন জহর।
এ ভাবে প্রকাশ্যে মুখ খোলায় জহরের বিরুদ্ধে তীব্র বিষোদ্গার করেন দমদমের প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় ও উপমুখ্যসচেতক তাপস রায়। তার পরেই রাজ্যসভার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ভেঙে নতুন করে তৈরি হাওয়া নিয়ে বির্তক তৈরি হলে জহরের নাম উঠে আসে। তবে এখনই তাঁর বিরুদ্ধে কোনও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না বলেই তৃণমূল সূত্রে খবর।