ট্রেড ইউনিয়নের ডাকে সংহতি মিছিল (বাঁ দিকে)।কৃষকদের সমর্থনে যুব কংগ্রেসের প্রতিবাদ(ডান দিকে)। নিদস্ব চিত্র।
দিল্লিতে কৃষকদের প্রতিবাদে কলকাতায় পথে নামল বাম ও কংগ্রেসের নানা গণ-সংগঠন। কেন্দ্রের কৃষি আইন বাতিলের দাবিতে কৃষকদের আন্দোলনের প্রতি সংহতি জানিয়ে রাজ্যে আজ, মঙ্গলবার থেকে নানা কর্মসূচি নিচ্ছে কৃষক সংগঠনগুলিও। ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে রাজভবন অভিযানের প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা।
আন্দোলনরত কৃষকদের পাশে দাঁড়ানোর ডাক দিয়ে সোমবার ধর্মতলা থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত মিছিল ছিল কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির উদ্যোগে। সিটুর অনাদি সাহু, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, ইউটিইউসি-র অশোক ঘোষদের পাশাপাশি মিছিলে ছিলেন আইএনটিইউসি-র কামারুজ্জামান কামার, এআইসিসিটিইউ-এর বাসুদেব বসুরা। তার আগে রাজা সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে একই বার্তা নিয়ে ধর্মতলা পর্যন্ত ছাত্র-মিছিল ছিল এসএফআইয়ের ডাকে। পরপর মিছিলের জেরে মধ্য কলকাতায় যান চলাচল জট পাকিয়ে যায় বেশ কিছু ক্ষণ। শ্রমিক সংগঠনের মিছিল শেষে সিটুর রাজ্য সম্পাদক অনাদিবাবু বলেন, ‘‘ব্রিটিশ সাম্রাজ্যবাদী সরকারের মতো আচরণ করছে কেন্দ্রের মোদী সরকার! দেশের অন্ন উৎপাদনকারীরা প্রতিবাদ করছেন। এই লড়াই শুধু কৃষকের নয়, ছাত্র-শ্রমিক-যুব বা মহিলা সকলের।’’ শ্রমিকদের ডাকা ধর্মঘটে কৃষক সংগঠনগুলি সমর্থন দিয়েছিল। কৃষকদের প্রতিবাদে শ্রমিক-সহ বাকি গণ-সংগঠনগুলি পাশে থাকবে বলে জানিয়েছেন বাম নেতৃত্ব।
কৃষক সংগঠনগুলির যৌথ মঞ্চ কৃষক সংগ্রাম সমন্বয় কমিটির রাজ্য শাখা এ দিন বৈঠক করে ঠিক করেছে, আগামী ৩, ৪ ও ৫ ডিসেম্বর জেলায় জেলায় গুরুত্বপূর্ণ সড়কে কৃষকদের পথ অবরোধ হবে। তার আগে আজ, মঙ্গলবার ও কাল, বুধবার জেলায় জেলায় কেন্দ্রীয় কৃষি ও বিদ্যুৎ আইনের ক্ষতিকারক দিকগুলি তুলে ধরে প্রচার এবং প্রধানমন্ত্রীর কুশপুতুল ও বিলের প্রতিলিবি জ্বালিয়ে প্রতিবাদ হবে। সমন্বয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক কার্তিক পাল ও আহ্বায়ক অমল হালদার জানিয়েছেন, কলকাতায় হাজার হাজার কৃষকদের এনে তাঁরা রাজভবন অভিযান করবেন। কেন্দ্রীয় আইন বাতিলের পাশাপাশি রাজ্যে বিকল্প কৃষি আইন করার দাবিও আছে তাঁদের। দিল্লির কৃষক প্রতিবাদে অংশগ্রহণের জন্য এ রাজ্য থেকে প্রতিনিধিদলও পাঠাচ্ছে সমন্বয় কমিটি।
প্রতিবাদী কৃষকদের সঙ্গে সরকারের শর্তহীন আলোচনা ও তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ দিনই বিধান ভবন থেকে মৌলালি পর্যন্ত মিছিল করে যুব কংগ্রেস। যুব নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের এক প্রস্ত ধাক্কাধাক্কিও হয়। ওই মিছিলে ছিলেন প্রদেশ যুব কংগ্রেস সভাপতি শাদাব খান, রাজ্যে যুব কংগ্রেসের পর্যবেক্ষক দীপক মিশ্র, সহ-পর্যবেক্ষক অমরীশ রঞ্জন পাণ্ডে প্রমুখ।