আবেদনপত্র বার করছেন তৃণমূল নেতারা। ছবি: অর্কপ্রভ চট্টোপাধ্যায়
ধুলিয়ানে ১৩২ জন। জঙ্গিপুরে ১৯২। শাসক দল তৃণমূলের হয়ে পুর নির্বাচনে প্রার্থী হতে চেয়ে ২১টি করে দুই পুরসভার মোট ৪২টি ওয়ার্ডের জন্য ড্রপ বক্সে জমা পড়ল ৩২৪টি আবেদন পত্র। তৃণমূলের দাবি, আশাতীত সাড়া মিলেছে।
দলের রাজ্য কমিটির নির্দেশে গত শুক্রবার সকাল থেকে রঘুনাথগঞ্জে জঙ্গিপুর জেলা দফতরে বসানো হয় ড্রপ বক্স। তাতে জঙ্গিপুর ও ধুলিয়ান পুরসভায় তৃণমূলের প্রার্থী হতে ইচ্ছুকদের কাছ থেকে বায়োডেটা সহ আবেদন পত্র চাওয়া হয়। রবিবার বিকেল ৫টায় ড্রপ বক্স দু’টি খোলা হয়। তার পরে প্রাথমিক ভাবে জানা যায়, আবেদনকারীদের মধ্যে ধুলিয়ানের এক ছাত্র নেতাও রয়েছেন। রবিবার তিনি বলছেন, “এত দিন প্রবীণ নেতারা দাঁড়িয়ে এসেছেন ওয়ার্ডে। আমরা খেটে জিতিয়েছি তাঁদের। এখন মানুষ চাইছেন তরুণ মুখ। দলের নেতারাও চান তরুণেরা দলে আর সক্রিয় হোক। সেই ভেবেই জমা দিয়েছি বায়োডেটা। দেখি কী হয়?”
আবার, জঙ্গিপুরে প্রার্থী হতে আবেদন করেছেন এক অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকাও। তাঁর কথায়, ‘‘এখন অবসর জীবন। তবে দলের সঙ্গে যুক্ত বহু দিনই। স্বামীও তৃণমূল করেন। তাঁর ইচ্ছেতেই এই শেষ বয়সে প্রার্থী হওয়ার চেষ্টা। ছেলে বাইরে থাকে চাকরি সূত্রে। সে অবশ্য জানিয়ে দিয়েছে, বুড়ো বয়সে ভীমরতি ধরেছে মায়ের।” আর এক তরুণ আবেদন পত্র জমা দিয়ে যথেষ্ট আশাবাদী। তাঁর দাদু ছিলেন ধুলিয়ানের দীর্ঘ দিনের কাউন্সিলর। ব্যবসায়ী বাবা আর রাজনীতির পথে হাঁটেননি। কিন্তু এই তরুণ বলছেন, ‘‘রাজনীতি করতে চাই। এক বিধায়ক আশ্বাসও দিয়েছেন। সে কারণেই আবেদন করেছি।”
তবে এর বাইরেও শমসেরগঞ্জের বিধায়ক আমিরুল ইসলামের তরফে ধুলিয়ান পুরসভার জন্য শতাধিক নাম জমা পড়েছে বলে জানিয়েছেন বিধায়ক নিজেই। জঙ্গিপুরের পুর প্রশাসক মোজাহারুল ইসলামও জানান, তাঁদের তরফে ২১ জনের প্রার্থী তালিকা ইতিমধ্যেই জমা পড়েছে প্রশান্ত কিশোরের টিমের কাছে। তবে সেই তালিকার প্রায় সকলেই বিদায়ী কাউন্সিলর।
তৃণমূলের জঙ্গিপুর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি খলিলুর রহমান বলেন, “এই ব্যবস্থায় ভাল সাড়া পেয়েছি । জেনেছি বহু সাধারণ শিক্ষিত মানুষও খোঁজখবর নিয়ে তাঁদের বায়োডেটা জমা দিয়েছেন। আমরা রাজ্য কমিটির নেতাদের সঙ্গে কথা বলব। তাঁরা যদি বলেন বাছাই করে পাঠাতে তাই হবে। যদি বলেন সমস্ত আবেদন পত্র পাঠাতে, তবে সেটাই হবে। প্রার্থী তালিকার বিষয়ে যা সিদ্ধান্ত সব নেবেন রাজ্য নেতারাই।”