কলকাতা হাই কোর্ট। —ফাইল চিত্র।
উলুবেড়িয়া-১ নম্বর ব্লকের সাসপেন্ড হওয়া বিডিও এবং উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসকের নতুন পদে ‘পোস্টিং’-কে চ্যালেঞ্জ করে কলকাতা হাই কোর্টের দৃষ্টি আকর্ষণ করল সিপিএম। বুধবার বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত মামলা দায়েরের অনুমতি দিয়েছেন। বৃহস্পতিবার মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
পঞ্চায়েত ভোটে নথি বিকৃতিকাণ্ডে ওই দুই আমলার বিরুদ্ধে হাই কোর্টে সিবিআই তদন্তের আর্জি জানানো হয়। বুধবার মামলাকারীর আইনজীবী সব্যসাচী চট্টোপাধ্যায় আদালতে জানান, ওই দুই আধিকারিকের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করেনি পুলিশ। তাঁদের পঞ্চায়েত দফতরের গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ করা হয়েছে। মামলাকারীর দাবি মোতাবেক, আদালতের নির্দেশ সত্ত্বেও এফআইআর না করে নতুন পদে বসিয়েছে রাজ্য। তাই আদালতে মামলাকারীর আবেদন, ওই অফিসারদের বিরুদ্ধে সিবিআইকে তদন্তভার দেওয়া হোক।
গত পঞ্চায়েত ভোটে তৃণমূল প্রার্থীকে জেতাতে উলুবেড়িয়া-১ নম্বর ব্লকের বিডিও নীলাদ্রিশেখর দে এবং উলুবেড়িয়ার মহকুমাশাসক শমীককুমার ঘোষ কাজ করেছেন। তাঁদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে মামলা করেন সিপিএম প্রার্থী কাশ্মীরা বেগম। হাই কোর্ট অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি দেবীপ্রসাদ দে-র নেতৃত্বাধীন একটি কমিটিকে অনুসন্ধানের নির্দেশ দেয়। কমিটি ওই দুই আধিকারিককে সাসপেন্ড এবং তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করার সুপারিশ করে। কমিটির সুপারিশে সিলমোহর দেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ। হাই কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী দুই আধিকারিককে সাসপেন্ড করে রাজ্য। সিপিএম প্রার্থীর অভিযোগ, সাসপেন্ড করা হলেও তাঁদের বিরুদ্ধে এফআইআর করা হয়নি।