কেরল ও মুর্শিদাবাদ থেকে ধৃত আল কায়দা জঙ্গিরা। ফাইল চিত্র।
নাবালিকা বিবাহের বিরোধিতা বা পোলিয়ো খাওয়ানোর প্রয়োজনীয়তার মতো বিষয়ে এর আগেও ইমামরা সকলকে সচেতন করেছেন। এ বার, এনআইএ-র হাতে মুর্শিদাবাদের ৯ জন গ্রেফতার হওয়ার পরে জেলার বিভিন্ন মসজিদের ইমামরা জানিয়ে দিলেন, দেশবিরোধী কোনও কাজ তাঁরা সমর্থন করবেন না। বরং তেমন কাজ কেউ করলে রুখে দাঁড়াতে হবে বলে জানালেন তাঁরা।
এ দিন, শুক্রবার, জুম্মার নমাজের পরে ইমামদের বক্তব্যে উঠে এল মোবাইল ব্যবহারে সতর্কতার কথাও। ভুল করে বা কোনও রকম প্রলোভনে পা দিয়ে হোয়াটসঅ্যাপ এবং ফেসবুকের মতো সামাজিক মাধ্যমে দেশবিরোধী কোনও সংগঠনের ফাঁদে পা না-দিতে সচেতন করে দিলেন মুর্শিদাবাদের ইমামরা।
মসজিদ কমিটির সঙ্গেও আলাদা করে আলোচনা করেছেন ইমামেরা। জলঙ্গির এক ইমাম বলছেন, ‘‘মসজিদ নিয়ে প্রশ্ন ওঠা বাঞ্ছনীয় নয়। সেই আবেদন জানিয়েছি মসজিদ কমিটির কাছে।’’ জেলা ইমাম সংগঠনের অন্যতম সংগঠক নিজামুদ্দিন বিশ্বাসও বলছেন, ‘‘আমরা ইতিমধ্যেই জেলার বিভিন্ন ইমামদের নমাজের পরে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য বলেছি। ইসলাম কখনও জঙ্গি কার্যকলাপ সমর্থন করে না। যদি কেউ দেশবিরোধী কোনও কাজের সঙ্গে জড়িয়ে থাকে, তা হলে তার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।’’
আরও পড়ুন: ধর্মীয় স্থানকে ‘ঢাল’ করে ছক জেহাদের?
ডোমকলের একটি মসজিদের ইমাম হাফেজ ক্বারী মুরসালিন বারবার সতর্ক করেছেন ফোনের ব্যবহার নিয়ে। তিনি বলেন, ‘‘প্রাথমিক ভাবে আমাদের মনে হয়েছে, যাবতীয় গন্ডগোলের উৎস স্মার্টফোন। ফলে সে ব্যাপারে সচেতন থাকার কথা বলেছি। কোনও ফাঁদে পা দেওয়া চলবে না।’’
জলঙ্গির এক ইমামের কথায়, ‘‘সীমান্তবর্তী এলাকা বলে এমনিতেই সতর্ক থাকতে হয়। তার উপরে এমন পরিস্থিতিতে আরও সচেতন হতেই হবে। সে কথাই সকলকে বলেছি।’’