এনআরএসে এনএমসি বিলের প্রতিবাদ চিকিৎসকদের। ছবি: পিটিআই
জাতীয় মেডিক্যাল কমিশন বিলের (ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশন বিল বা এনএমসি) প্রতিবাদে বুধবার দেশ জুড়ে চিকিৎসা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন। এ দিন সকাল থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ওই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে। ধর্মঘটে সামিল হয়েছে কলকাতা-সহ রাজ্যের বহু হাসপাতালই। ফলে, আউটডোর পরিষেবা বন্ধ থাকায় ডাক্তার দেখাতে এসে বিপাকে পড়েছেন অনেকেই। যদিও, জরুরি পরিষেবাকে এই ধর্মঘটের আওতার বাইরে রাখা হয়েছে।
প্রতি দিনের মতো এ দিনও রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চিকিৎসার জন্য কলকাতায় এসে পৌঁছন বহু মানুষ। কিন্তু, শহরের বিভিন্ন হাসপাতালে পৌঁছে তাঁদের হতাশ হতে হয়। এসএসকেএম হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন অনেকেই। সকাল ১০টা থেকে আউটডোর পরিষেবা চালু হওয়ার কথা থাকলেও, তা হয়নি। তাতে চরম সমস্যায় পড়েন রোগী ও রোগীর আত্মীয় পরিজন। একই রকম ছবি দেখা গিয়েছে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজেও। এ দিন সকাল থেকেই হাসপাতালের গেট বন্ধ ছিল বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে গেট খুলে অবশ্য আউটডোরের রোগীদের টিকিট দেওয়া হয়। কিন্তু, বেলা বাড়লেও আউটডোরে ডাক্তাররা বসেননি বলে অভিযোগ রোগী ও তাঁদের পরিবারের। ইএনটি ও অর্থোপেডিক বিভাগের চিকিৎসকদের দেখা মেলেনি বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই।
কলকাতার অন্যান্য সরকারি হাসপাতাল, যেমন আরজিকর বা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজেও দুর্ভোগের ছবিটা একই রকম। এ দিন সকাল থেকেই হাসপাতালে ভিড় জমান বিভিন্ন জেলার মানুষ। কিন্তু, চিকিৎসকের দেখা পাওয়া যায়নি। তবে সর্বত্র জরুরি পরিষেবা খোলা রয়েছে। বিভিন্ন জেলার হাসপাতালগুলিতেও কম বেশি একই ছবি দেখা গিয়েছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজেও আউটডোর পরিষেবা বন্ধ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এসএসকেএমে আউটডোরের সামনে ভিড়। নিজস্ব চিত্র।
আরও পড়ুন: অনেকেই পাননি, তবু ২৪ ঘণ্টায় ১ লক্ষ ফোন
দেশের চিকিৎসা শিক্ষা ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজাতে, মেডিক্যাল শিক্ষায় দুর্নীতি রুখতে, সময়োপযোগী ও সংস্কারমুখী পাঠ্যসূচি চালু করতেই বিলটি আনা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধন। কিন্তু, আইএমএ-র অভিযোগ, এনএমসি বিল জনস্বার্থ বিরোধী। তা আইনে পরিণত হলে মেডিক্যাল শিক্ষার গোটাটাই নিয়ন্ত্রণ করবে কেন্দ্র। তারই প্রতিবাদে ধর্মঘটের ডাক দেয় তারা।
আরও পড়ুন: ‘দিদিকেই বলছি’, প্রশ্ন তুলে পাল্টা সিপিএমের