সাংবাদিক সম্মেলনে বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার রশিদ মুনির খান। —নিজস্ব চিত্র।
বড়সড় এক অস্ত্রকারখানার হদিশ পেল পুলিশ। দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ের আমতলায় ওই অস্ত্র কারখানায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ কার্তুজ, বন্দুক এবং অস্ত্র তৈরির সামগ্রী বাজেয়াপ্ত করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় এক ব্যক্তিকেও। ক্যানিং থানা এবং বারুইপুর জেলা পুলিশের স্পেশাল অপারেশন গ্রুপ (এসওজি) যৌথ ভাবে বৃহস্পতিবার রাতে ওই তল্লাশি-অভিযান চালায়।
পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত ব্যক্তির নাম আবু সিদ্দিক লস্কর। পুলিশের কাছে অভিযুক্ত স্বীকার করেছে, সে দু’বছর ধরে বেআইনি অস্ত্র কারবারের সঙ্গে যুক্ত।
সিদ্দিকের বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে ৫টি সিঙ্গেল ব্যারেল পাইপগান, ১২টি ওয়ান শাটার পাইপ গান, ২টি সিক্স চেম্বার পাইপ গান, ৪টি আয়রন মেড ব্যারেল গান পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৩০টি কার্তুজ। এ ছাড়াও অভিযুক্তের বাড়ি থেকে পাওয়া গিয়েছে অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম। এই চক্রে আরও অনেকে জড়িত রয়েছে বলে পুলিশের অনুমান।
আরও পড়ুন: কেন্দ্রীয় হারেই মহার্ঘ ভাতা দিতে হবে রাজ্যকে, জানিয়ে দিল স্যাট, বকেয়া মেটানোরও নির্দেশ
‘এ কী সাজা দিলেন বিচারক!’, ফাঁসি চেয়ে হাইকোর্টে যাচ্ছেন অনুপমের বাবা-মা
পুলিশ সূ্ত্রে খবর, ধৃত আবু সিদ্দিকের বাড়ি আমতলার শেখপাড়াতে। গোপন সূত্রে পুলিশ খবর পায়, সিদ্দিকের বাড়িতে অস্ত্রের লেনদেন চলে। কিন্তু সেখানে যে এ ভাবে রমরমিয়ে অস্ত্রের কারখানা চলছে, তা অবশ্য পুলিশ কর্তারা বুঝতে পারেননি। ক্যানিং থাকার পুলিশ এবং এসওজি-র অফিসারদের নিয়ে একটি দল তৈরি করে অভিযুক্তের বাড়িতে তল্লাশি চালাতেই অস্ত্র কারখানার হদিশ মেলে।
শুক্রবার বারুইপুর পুলিশ জেলার সুপার রশিদ মুনির খান সাংবাদিক সম্মেলন করে বলেন, “অভিযুক্ত ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পাশাপাশি বিপুল পরিমাণে বেআইনি অস্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই ঘটনার নেপথ্যে আর কেউ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
(দুই চব্বিশ পরগনা, হাওড়া ও হুগলি, নদিয়া-মুর্শিদাবাদ, সহ দক্ষিণবঙ্গের খবর, পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা খবর, বাংলার বিভিন্ন প্রান্তের খবর পেয়ে জান আমাদের রাজ্য বিভাগে।)