Land Mafia

Land Mafia: ‘আদিবাসী মহিলার জমি কেড়ে রিসর্ট গড়ছে কলকাতার সংস্থা, লুকোচুরি খেলছে পুলিশ’

পার্বতীর দাবি, তাঁর ১ কাঠার কিছু বেশি জমি কেড়ে নিয়ে সেখানে রিসর্ট গড়ছে জমিমাফিয়ারা। তবে এ নিয়ে বাধা দিতে গেলে তাঁকে হেনস্থা করা হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

ইলামবাজার শেষ আপডেট: ১৬ মে ২০২২ ১৬:১৭
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

জমির প্রাপ্য মূল্য চোকানো তো দূরের কথা। বরং একের পর এক জমি দখল করে রিসর্ট গড়ছে কলকাতার সংস্থা। পুলিশের কাছে গেলেও প্রতিকার মেলেনি। জমিমাফিয়াদের বিরুদ্ধে এই অভিযোগে এ বার বীরভূম জেলা প্রশাসনের দ্বারস্থ হলেন ইলামবাজারের স্থানীয় বাসিন্দাদের একাংশ। জমি ফেরত না দিলে বড়সড় আন্দোলনের হুমকি দিয়েছেন তাঁরা।

ইলামবাজারের গোপালনগর সংলগ্ন এলাকায় জমিদখলের অভিযোগ উঠেছে। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ, তাঁদের অজান্তেই জমির মালিকানা বেহাত হয়ে গিয়েছে। তাতে অবাধে গড়ে উঠছে একের পর এক রিসর্ট। তবে ক্ষতিপূরণ বা জমির টাকা— কোনওটাই মেলেনি।

Advertisement

গোপালনগর সংলগ্ন এলাকায় তাঁর জমি দখল করে নিয়েছে কলকাতার এক সংস্থা। এমন দাবি আদিবাসী মহিলা পার্বতী মুর্মুর। একই অভিযোগ রফিকুল মোল্লারও। পার্বতীর দাবি, তাঁর ১৩ শতক (১ কাঠার কিছু বেশি) জমি কেড়ে নিয়ে সেখানে রিসর্ট গড়ছে জমিমাফিয়ারা। তবে এ নিয়ে বাধা দিতে গেলে তাঁকে হেনস্থা করা হয়। অভিযোগ, ওই জমির প্রাপ্য অর্থ মিটিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে দাবি করেন রিসর্ট কর্তৃপক্ষ। পার্বতীর কথায়, ‘‘আমার ১৩ শতক জমি জোর করে কেড়ে নিয়েছে। জমির জন্য এক টাকাও পাইনি। ওই জমি ফেরত চাই। শনিবার থানায় অভিযোগ জানাতে গেলে দু’তিন ঘণ্টা বসে থেকে ফিরে আসতে হয়। আমার কেস (এফআইআর) নিচ্ছে না।’’ এই অভিযোগ নিয়ে বীরভূমের জেলা পুলিশ এসপি নগেন্দ্র ত্রিপাঠীকে চিঠি লিখেছেন পার্বতীরা।

যে সংস্থার বিরুদ্ধে এই অভিযোগ, সেই ‘বনচ্ছায়া কনস্ট্রাকশন’ নামের সংস্থাটি কলকাতার বলে স্থানীয় সূত্রে খবর। তবে সেখানকার এক আধিকারিকের দাবি, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না।

Advertisement

পার্বতীর মতো জমি খুইয়েছেন বলে দাবি রফিকুল মোল্লার। তিনি বলেন, ‘‘আমাদের ১০ শতক (১ কাঠার কিছু কম) জমি বেদখল হয়ে গিয়েছে। এক আদিবাসী মহিলার ১৩ শতক জমি জোরজবরদস্তি দখল করে নেওয়া হয়েছে। মামলামোকদ্দমা করেও কিছু হয়নি। জমির মাপজোক করার সময় ওই আদিবাসী মহিলাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। বাধা দিতে গেলে আমার বৌদিকেও ঠেলে ফেলে দেয়। থানায় অভিযোগ জানিয়েও লাভ হয়নি। পুলিশ আমাদের সঙ্গে লুকোচুরি খেলছে।’’ যদিও জেলা পুলিশ সুপার নগেন্দ্র ত্রিপাঠী বলেন, ‘‘এ বিষয়টি জানি না। তবে খতিয়ে দেখে জানাব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement