শিক্ষার গুণমান বিচার করে দেশের সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাতে প্রথম দশে জায়গা করে নিয়েছে আইআইটি খড়্গপুর। প্রথম কুড়ির মধ্যে রয়েছে যাদপুর ও কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
তবে এ ক্ষেত্রে দৌড়ে অনেকটাই পিছিয়ে পড়েছে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয়। গত কয়েক বছরের মতো, এ বারও প্রথম ১০০-য় ঠাঁই হয়নি তার।
কেন্দ্রীয় মানবসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের তরফে উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির সার্বিক যে তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে আইআইটি খড়্গপুর, কলকাতা ও যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়-সহ এ রাজ্যের মোট সাতটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রথম ১০০-র মধ্যে রয়েছে।
এই তালিকায় প্রথমেই নাম আসবে আইআইটি খড়্গপুরের। গতবছরের মতো এ বারও পঞ্চম স্থানে রয়েছে তারা। গত বছর কেন্দ্রের তালিকায় দ্বাদশ স্থানে ছিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। এক ধাপ এগিয়ে এ বার একাদশে উঠে এসেছে এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দ্বাদশ স্থানে উঠে এসেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। গত বছর ত্রয়োদশ স্থানে ছিল তারা।
এ ছাড়াও এই তালিকায় ২৯তম স্থানে নম্বরে রয়েছে আইআইএসইআর-কলকাতা। শিবপুর আইআইইএসটি রয়েছে ৪৩ নম্বরে। ৬৯ নম্বরে রয়েছে বিশ্বভারতী বিশ্ববিদ্যালয় এবং এনআইটি দুর্গাপুর রয়েছে ৯৬তম স্থানে।
বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে এ রাজ্যের পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয় প্রথম ১০০-য় রয়েছে। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে পঞ্চম স্থানে। সপ্তম স্থানে রয়েছে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। বিশ্বভারতী, কল্যাণী এবং বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয় রয়েছে যথাক্রমে ৫০, ৮৯ এবং ৯২তম স্থানে।
ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজগুলির মধ্যে প্রথম ১০০-য় এ রাজ্যের চারটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে গত বছরের তুলনায় বেশ কিছুটা ধাপ নেমে গিয়েছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। ২০১৯ সালে এই তালিকায় চতুর্থ স্থানে ছিল আইআইটি খড়্গপুর। এ বার এক ধাপ নেমে পঞ্চম স্থানে রয়েছে তারা। ২০১৯-এ ১৪তম স্থানে থাকলেও এ বার ১৭তম স্থানে নেমে এসেছে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়। গতবছরের ১৯তম স্থান থেকে এ বার ২১তম স্থানে নেমে এসেছে আইআইইএসটি শিবপুর। গত বছর ৪৬তম স্থানে ছিল এনআইটি দুর্গাপুর। এ বার তারা নেমে এসেছে ৪৭-এ।
দেশের সমস্ত কলেজগুলির মধ্যে এ রাজ্যের সাতটি কলেজ প্রথম ১০০-য় জায়গা করে নিয়েছে। গত বছর দশম স্থানে থাকা সেন্ট জেভিয়ার্স এ বছর সপ্তম স্থানে উঠে এসেছে। গত বছর একাদশ স্থানে ছিল বেলুড়ের রামকৃষ্ণ মিশন বিদ্যামন্দির। যুগ্ম ভাবে সপ্তম স্থান দখল করেছে তারা। তালিকায় বেশ কয়েক ধাপ নেমে গিয়েছে নরেন্দ্রপুরের রামকৃষ্ণ মিশন আবাসিক কলেজ। গত বছর ১৫তম স্থানে থাকলেও, এ বছর ২০তম স্থানে নেমে গিয়েছে তারা। লোরেটো, বেথুন এবং লেডি ব্রাবোর্ন যথাক্রমে ৭৫, ৮৮ এবং ৯৪তম স্থান দখল করেছে।
দেশের ৪০টি মেডিক্যাল কলেজের যে তালিকা প্রকাশ করেছে কেন্দ্র, তাতে এ রাজ্যের একটি প্রতিষ্ঠানেরও জায়গা হয়নি। ৭৫টি ফার্মাসি কলেজের মধ্যে এ রাজ্যের তিনটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। তবে গত বছর তৃতীয় স্থানে থাকলেও এ বছর একধাক্কায় ২৭তম স্থানে নেমে এসেছে এনআইপিইআর-কলকাতা। ৬১তম স্থানে রয়েছে এনএসএইচএম নলেজ ক্যাম্পাস। জিএনআইপিএসটি রয়েছে ৬৭তম স্থানে।
ডেন্টাল কলেজের যে তালিকা প্রকাশ হয়েছে, তাতে প্রথম তিরিশে এ রাজ্যের কোনও প্রতিষ্ঠান নেই।
৭৫টি ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠানের তালিকায় বাংলার তিনটি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। গত বছরের মতো এ বছরও আইআইএম কলকাতা রয়েছে তৃতীয় স্থানে। ষষ্ঠ স্থান থেকে পঞ্চমে উঠে এসেছে আইআইটি খড়্গপুর। গত বছর ৪৫তম স্থানে থাকলেও, এ বছর ৫২-য় নেমে এসেছে আইএমআই।
আইন পড়ানো হয় এমন ২০টি প্রতিষ্ঠানের তালিকায় বাংলার দু’টি প্রতিষ্ঠান রয়েছে। চতুর্থ স্থানে রয়েছে আইআইটি খড়্গপুর। ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব জুরিডিক্যাল সায়েন্স রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে।
স্থাপত্যবিদ্যা পড়ানো হয় এমন ২০টি প্রতিষ্ঠানের তালিকায় প্রথম স্থানে রয়েছে আইআইটি খড়্গপুর। শিবপুর আইআইইএসটি রয়েছে ষষ্ঠ স্থানে।