৩৫ শতাংশ পেলেই বিজ্ঞান নিয়ে পড়াশুনো করতে পারবেন ছাত্রছাত্রীরা। ফাইল চিত্র।
আগের থেকে কম নম্বর পেয়েও পড়া যাবে বিজ্ঞান বিভাগে। শুক্রবার মাধ্যমিকের ফল প্রকাশের পর এক বিজ্ঞপ্তি জারি করে এ কথা জানিয়ে দিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, বিজ্ঞান বিভাগের ক্ষেত্রে অর্থাৎ পদার্থবিদ্যা, রয়াসন, অঙ্ক ও জীবন বিজ্ঞান, কম্পিউটার সায়েন্স এবং অন্য বিজ্ঞান ভিত্তিক বিষয় নিয়ে পড়াশুনোর ক্ষেত্রে ন্যূনতম নম্বর ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে। এমন সিদ্ধান্তের কারণ হিসেবে জানানো হয়েছে, বিপুল সংখ্যক ছাত্রছাত্রীকে ইচ্ছেমতো বিষয়ে পড়াশুনোর সুযোগ করে দিতেই এই ব্যবস্থা।
এর আগে বিজ্ঞান সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে পড়তে গেলে ওই সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে ৪৫ শতাংশ নম্বর পেতে হত। বিজ্ঞানের পাশাপাশি ভুগোল নিয়ে পড়ার ক্ষেত্রেও নম্বর ৪৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৩৫ শতাংশ করা হয়েছে। সংসদের তরফে এই বিজ্ঞপ্তিটি জারি করেছেন, সেক্রেটারি-ইন-চার্জ তাপস কুমার মুখোপাধ্যায়। তবে উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের এই সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছে শিক্ষক সংগঠনগুলি। তাঁদের দাবি, এ ভাবে রাজ্যের শিক্ষা ক্ষেত্রকে নষ্ট করে দেওয়া হচ্ছে। বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, ‘‘উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ দুটি সিদ্ধান্ত নিয়েছে। একটিতে ৩৫ শতাংশ পেলেই বিজ্ঞান বিষয়ে পড়াশুনো করা যাবে। আবার স্কুলগুলিতে আসন সংখ্যা বাড়িয়ে ২৭৫ থেকে ৪০০ করা হয়েছে। এই দুটি সিদ্ধান্তই অত্যন্ত নেতিবাচক। গুণমানের শিক্ষার ক্ষেত্রে এটা সহায়ক হবে না বলেই শিক্ষামহল মনে করে।’’
গত কয়েক বছরে উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলিতে শিক্ষক নিয়োগ হয়নি বলেই অভিযোগ উঠেছে। তাই উচ্চ মাধ্যমিক স্কুলগুলির ক্ষেত্রে জোড়া সিদ্ধান্ত নিয়ে প্রশ্ন তুলছে শিক্ষকদের সংগঠনগুলি। শিক্ষক সংগঠনের একাংশের কথায়, প্রতিটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের অভাব রয়েছে। এত পরিমাণ ছাত্রছাত্রীদের চাপ সহ্য করা স্কুলগুলির পক্ষে সহজ হবে না। সরকারের উচিত উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে নতুন শিক্ষক পদ তৈরি করা। কারণ করোনা সংক্রমণের পরিস্থিতিতে যে লডাউন হয়েছিল, তাতে শিক্ষা ব্যবস্থা ও ছাত্রছাত্রীদের বিস্তর ক্ষতি হয়েছে। তার ওপর নতুন করে শিক্ষক নিয়োগ ছাড়াই এইসব সিদ্ধান্তগুলি কার্যকর করা হলে, তা রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থার জন্য ভাল হবে না।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।