Mamata Banerjee-Dilip Ghosh

জয় শ্রীরাম স্লোগানে আপত্তি, বিধানসভায় বিল এনে নিষিদ্ধ করুন! মমতাকে আক্রমণ দিলীপের

শুক্রবার হাওড়া স্টেশনে বন্দে ভারত এক্সপ্রেসের সূচনায় বিজেপি কর্মীদের জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষুব্ধ হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে, প্রশ্নের মুখে পড়েন মেদিনীপুরের সাংসদ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ৩১ ডিসেম্বর ২০২২ ১৬:৪৯
Share:

জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষুব্ধ হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ খুললেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। ফাইল চিত্র।

জয় শ্রীরাম স্লোগানে আপত্তি থাকলে বিধানসভায় বিল এনে নিষিদ্ধ করে দিন মুখ্যমন্ত্রী। এমনটাই বললেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ। শনিবার সকালে নিউটাউনের ইকোপার্কে প্রাতর্ভ্রমণে গিয়ে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হন তিনি। শুক্রবার হাওড়া স্টেশনে বন্দে ভারত ট্রেনের সূচনায় বিজেপি কর্মীদের জয় শ্রীরাম স্লোগান নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষুব্ধ হওয়ার ঘটনা প্রসঙ্গে প্রশ্নের মুখে পড়েন মেদিনীপুরের সাংসদ। প্রশ্নের জবাবে দিলীপ বলেন, ‘‘উনি নাম, বদনামের ধার ধারেন না। টাকার থলি নিয়ে রাজ্যে রাজ্যে ঘোরেন। কিন্তু কিছু করতে পারেন না। কারণ ওনার এই আচরণ। আমাদের দেশে বন্দে মাতরম বলতে আইনি বাধা নেই। জয় শ্রীরাম বলতেও বাধা নেই। উনি ক্ষেপে যাচ্ছেন কেন? আমাদের পিছনে তো রেগুলার জয় বাংলা বলছেন। আমরা কি ক্ষেপে যাই?’’

Advertisement

এর পরেই দিলীপ আরও বলেন, ‘‘যদি আপনার জয় শ্রীরাম শুনতে আপত্তি থাকে, বিধানসভায় বিল নিয়ে আসুন। রোজ তো কিছু না কিছু বিল আনেন। বিল এনে পাশ করিয়ে রাজ্যে জয় শ্রীরাম নিষিদ্ধ করে দিন। ইংরেজরা সার্কুলার জারি করে দেশে বন্দে মাতরম বলা বন্ধ করেছিল। তৃণমূল জয় শ্রীরাম ব্যান করে দিক। মানুষ বুঝে যাবে, এরা কারা? এর আগে, এই আপনিই তো জয় শ্রীরাম বলায় কিছু লোককে জেলে ঢুকিয়েছিলেন।’’

দিলীপের দাবি, প্রধানমন্ত্রী যখন বক্তৃতা করছিলেন, তখন মুখ্যমন্ত্রী মুখ্যসচিবের সঙ্গে কথা বলতে ব্যস্ত ছিলেন। তাঁর দাবি, “আমি তো মঞ্চে উঠিনি। পিছনে বসে ওনার নাটক দেখছিলাম। অনুষ্ঠান যখন চলছে, মোদী বক্তব্য রাখছেন, উনি তখন মুখ্যসচিবের সঙ্গে গল্প করছেন। আপনার গল্প করার জন্য তো নবান্ন আছে। সেখানে করুন। বাঙালির যেটুকু মানসম্মান ছিল, এঁরা ডুবিয়ে দিচ্ছেন।’’ দিলীপের পাল্টা তৃণমূল নেতা তাপস রায় বলেন, ‘‘দিলীপের বোঝা উচিত স্থান, কাল, পাত্র বলে একটা বিষয় রয়েছে। যেখানে প্রধানমন্ত্রী তাঁর মাতৃবিয়োগের পর একটি সরকারি অনুষ্ঠানে ভার্চূয়ালি শামিল হয়েছেন। সেখানে এই ধরনের স্লোগান, শাউটিং বা যে কোনও ধরনের পতাকা নিয়ে যাওয়ার ঘটনা থেকে বিরত থাকা উচিত ছিল। কিন্তু তেমনটা করা হয়নি। এ ক্ষেত্রে যা করা হয়েছে, তা অত্যন্ত দৃষ্টিকটু। কোনও মন্তব্য করার আগে দায়িত্বশীল বিরোধী নেতার একটু বিবেচনা করা উচিত।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement