সাংবাদিক সম্মেলনে চাকরি হারা শিক্ষক-শিক্ষিকারা ওএমআর শিট হাতে নিয়ে তাদের চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবিতে l শহীদ মিনার ময়দানে। ছবি: বিশ্বনাথ বণিক।
শীর্ষ আদালতে রাজ্যের স্কুল সার্ভিস কমিশন (এসএসসি) যোগ্য শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীদের তালিকা তুলে দিতে না পারলে আন্দোলনে নামবেন চাকরিহারারা। সোমবার সুপ্রিম কোর্টে এসএসসি মামলার শুনানির পর এ কথা জানান তাঁরা। কলকাতার শহিদ মিনার ময়দানে দাঁড়িয়ে চাকরিহারাদের বক্তব্য, তাঁরা যে যোগ্য সেই প্রমাণ এসএসসির হাতে আছে। তা হলেও কেন যোগ্যদের তালিকা কোর্টে জমা দেওয়া হচ্ছে না? তাঁরা জানান, চাকরিহারাদের তরফেও সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে সুপ্রিম কোর্টের মামলার বিষয়ে এ দিন এসএসসির চেয়ারম্যান সিদ্ধার্থ মজুমদার কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
এ দিন সুপ্রিম কোর্টের শুনানির পরে স্থগিতাদেশ মিলেছে কি না, তা নিয়ে চাকরিহারাদের মধ্যে ধন্দ ছিল। ডালিয়া বন্দ্যোপাধ্যায় নামে এক শিক্ষিকা বলেন, ‘‘শুনেছি, দেশের প্রধান বিচারপতি আশ্বাস দিয়েছেন যে ২৫ হাজার মানুষের জীবনজীবিকার প্রশ্ন। তাই পুরো বিষয়টি তিনি ভাল করে শুনবেন।’’ বৃন্দাবন ঘোষ নামে এক শিক্ষকের বক্তব্য, ‘‘কারা যোগ্য এবং কারা অযোগ্য, সেই তালিকা দেওয়ার দায়িত্ব এসএসসি-র। কারণ, আমাদের সব নথি এসএসসি-কে দিয়েছিলাম এবং একাধিক বার নথি যাচাই করা হয়েছে। তাই আগামী বৃহস্পতিবারের মধ্যে তালিকা কোর্টে জমা পড়ুক।’’ এসএসসি-র চেয়ারম্যান কেন যোগ্যদের শংসাপত্র দিতে পারবেন না বলেছেন, তা নিয়েও রীতিমতো ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন চাকরিহারা শিক্ষকেরা।
এসএসসি দাবি করেছে যে তাঁদের কাছে উত্তরপত্রের (ওএমআর শিট) নথি নেই। সেই দাবি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন চাকরিহারাদের অনেকে। কারণ, দু’বছর আগেও তথ্য জানার অধিকার আইনে অনেকে উত্তরপত্রের প্রতিলিপি পেয়েছে। সেই প্রতিলিপি কোথা থেকে এল তাও জানতে চান তাঁরা। এসএসসি যদি নতুন করে নিয়োগ প্রক্রিয়া শুরু করে তা হলে তাতেও অংশগ্রহণ করবেন না বলে এই আন্দোলকারীরা জানিয়েছেন।