শুভেন্দু অধিকারী। —ফাইল চিত্র।
ক্ষমতায় এলে ছ’মাসের মধ্যে নির্বাচন করে ‘মানুষের পঞ্চায়েত’ গড়বেন, মঙ্গলবার জানালেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। বীরভূমের সদর শহর সিউড়ির ইন্ডোর স্টেডিয়ামে এ দিন বিজেপির পঞ্চায়েতি রাজ সম্মেলনে এসেছিলেন শুভেন্দু। তখনই এ কথা বলেন তিনি। একই সঙ্গে তৃণমূলকে খোঁচা দিয়ে তিনি দাবি করেন, অনুব্রত মণ্ডল না থাকলেও বীরভূমে কোনও কিছুই বদলায়নি। কারণ, অনুব্রতের বদলে এখন রয়েছেন কাজল শেখ।
জবাবে কাজল শেখ বলেন, ‘‘আমি কলকাতায় আছি। উনি কী বলেছেন জানা নেই।’’
এ দিন শুভেন্দু বলেন, ‘‘বালি চলছে, পাথর চলছে, ডিসিআর চলছে, চুরি চলছে, ঠিকাদারির ভাগ চলছে। বিরোধীদের উপরে অত্যাচার চলছে। শুধু নতুন রূপে চলছে।’’ এর পরেই কাজল শেখকে তাঁর খোঁচা, “কেষ্টর যেমন সেহগাল (অনুব্রতের সঙ্গেই তিহাড়ে বন্দি) ছিল, তেমনই কাজলবাবু তাঁর ভাগ্নেকে তৈরি করেছেন।”
শুভেন্দু যোগ করেন, “পুরো ব্যবস্থার নাটের গুরু হচ্ছে তোলাবাজ কয়লা ভাইপো। আগে কেষ্ট হয়ে মুড়ির টিন যেত পিসির কাছে। এখন সরাসরি পুলিশের মাধ্যমে টাকা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।” জেলার একাধিক পুলিশ আধিকারিকের নাম করে তাঁর দাবি, “মমতার পুলিশ পৌঁছে গিয়েছে বিজেপি নেতাদের কাছে। তবে, যে দিন অনুব্রতের কাছে ভাইপো যাবে, সে দিন তৃণমূলও থাকবে না।”
এর পাশাপাশি ক্ষমতায় এলে নতুন করে পঞ্চায়েত ভোট করানোর কথাও বলেন শুভেন্দু। তিনি বলেন, “আমরা যে দিন ক্ষমতায় আসব, তৃণমূলের চোর, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জেতা, গণনায় কারচুপি করা এবং বিডিও বা আইসিদের দ্বারা নির্বাচিতরা পদত্যাগ করতে বাধ্য হবে। ছ’মাসের মধ্যে নতুন পঞ্চায়েত গড়ব।”
শুভেন্দুর অভিযোগ প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা পুলিশের কেউ মন্তব্য করতে চাননি। তৃণমূলের মুখপাত্র তাপস রায় বলেন, “এই মিথ্যার ঝুড়ি পঞ্চায়েতে উল্টে দিয়েও লজ্জাজনক ভাবে হেরেছেন। আবার লোকসভা ভোটের আগে চেষ্টা করছেন। লাভ হবে না।” তাঁর আরও মন্তব্য,“তৃণমূল কী ভাবে চলবে, তা দেখার দায়িত্ব শুভেন্দুর নেওয়ার দরকার নেই। বিজেপির মন্ত্রীরা যে ভাবে দলের নেতা-কর্মীদের হাতে তালাবন্ধহয়ে থাকছেন, তিনি বরং সে সব সামলান।”