নবান্ন। — ফাইল চিত্র।
ভিজিল্যান্স বিভাগের ছাড়পত্র পেতে হলে এ বার থেকে সরকারি আধিকারিকদের ঘোষণাপত্রে থাকতে হবে প্রশাসনের বরিষ্ঠকর্তাদের স্বাক্ষর। সম্প্রতি রাজ্য প্রশাসন সূত্রে এমনটাই জানা গিয়েছে। একটি নির্দেশিকা মারফত জানানো হয়েছে, আইএএস, ডব্লিউবিসিএস এবং ডব্লিউবিএসএস আধিকারিকদের ভিজিল্যান্সের ছাড়পত্র পেতে গেলে প্রশাসনের ঠিক করে দেওয়া আধিকারিকদের থেকে তাঁদের ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর নিতে হবে। প্রতি বছর জুন মাসে রাজ্য প্রশাসনের শীর্ষ আধিকারিকরা তাঁদের আয় ব্যয়-সহ সম্পত্তির হিসেব দেন ভিজিল্যান্স বিভাগের কাছে। সেই সব আয় ব্যয় এবং সম্পত্তির হিসাব-নিকেশ খতিয়ে দেখে তাঁদের ছাড়পত্র দেয় ভিজিল্যান্স বিভাগ। সেই পর্যায়েই এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। জানানো হয়েছে, আইএএস আধিকারিকদের ক্ষেত্রে অতিরিক্ত মুখ্যসচিবের থেকে নিজেদের ঘোষণাপত্র স্বাক্ষর নিতে হবে। আর ডব্লিউবিসিএস এবং ডব্লিউবিএসএস আধিকারিকদের নিজেদের ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর নিতে হবে বিশেষ কমিশনার বা বরিষ্ঠ বিশেষ সচিবের থেকে।
যদিও প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, ‘‘নিয়মমাফিক প্রতি বছর সরকারি দফতরের শীর্ষ আধিকারিকরা তাঁদের আয় ব্যয় এবং সম্পত্তির হিসাব দাখিল করেন দফতরে। সেই নিয়ম মেনেই সব আধিকারিক নির্দিষ্ট সময়ে নিজেদের আয় ব্যয়ের হিসাব জমা দেন, এতে নতুনত্বের কিছু নেই।’’ প্রসঙ্গত, সম্প্রতি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক দেশের সর্বস্তরের আইপিএস পুলিশ আধিকারিকদের নিজেদের আয় ব্যয় এবং সম্পত্তির পরিমাণ জানাতে নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু রাজ্য প্রশাসন সূত্রে খবর, কেন্দ্রীয় সরকারের প্রকাশিত সেই নির্দেশের সঙ্গে রাজ্য সরকারের এই নির্দেশের কোনও যোগাযোগ নেই। রুটিন মাফিক যে ভাবে প্রশাসনের কাজকর্ম হয়, সেই নিয়ম মেনেই রাজ্য সরকারি আধিকারিকদের নিজেদের ঘোষণাপত্রে একজন শীর্ষ আধিকারিকের স্বাক্ষর করতে বলা হয়েছে। আইপিএসদের আগামী জানুয়ারি মাসে তাঁদের আয় ব্যয়ের হিসাব দাখিল করতে হবে। রাজ্যের আধিকারিকদের ঘোষণাপত্র জমা দিতে হবে আগামী জুন মাসে। তাই দু’টি বিষয়কে এক করে দেখা যুক্তিযুক্ত নয় বলেই মনে করছে রাজ্য প্রশাসনের একাংশ।