তৃণমূল বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী। ফাইল চিত্র।
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কম হাজিরা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন মঙ্গলবার। আর তা নিয়ে দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর তোপের মুখে পড়ে মুখ্যমন্ত্রী তথা দলনেত্রীরই দ্বারস্থ হওয়ার কথা জানালেন তৃণমূল বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী। পরিষদীয় দলের বৈঠকে রাজ্য সভাপতির কাছে অসম্মানিত হয়েছেন বলে তৃণমূলনেত্রীকে জানাবেন তিনি।
দলেরই একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিধানসভায় পরিষদীয় দলের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি মুখ খুলে রাজ্য সভাপতির তিরস্কারের মুখে পড়েন করিম। পরে তা গড়ায় বিধায়কের নির্বাচনী কেন্দ্র ইসলামপুরের সংগঠন নিয়ে আলোচনায়। বক্সীকে করিম জানিয়েছিলেন, ব্লক সংগঠনে তাঁর বিরুদ্ধ গোষ্ঠীকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাতে তাঁর কাজ করতে সমস্যা হচ্ছে। বক্সী তাতে আমল না দেওয়ায় তিনি পাল্টা জানিয়ে দেন, পঞ্চায়েত ভোটের কাজ তিনি নিজের সংগঠন দিয়েই করাবেন। জানা গিয়েছে, তখনই বিধায়ককে রাজ্য সভাপতি জানিয়ে দেন, দলের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েই কাজ করতে হবে। তা না করলে, বিধায়ক ইস্তফা দিয়ে সরে যেতে পারেন।
করিম চৌধুরী এ দিন বলেন, ‘‘রাজ্য সভাপতির দুর্ব্যবহারের বিরুদ্ধে মুখ্যমন্ত্রীকে অভিযোগ করব। মুখ্যমন্ত্রী আমাকে ডেকে টিকিট দিয়েছেন। তা নিয়ে রাজ্য সভাপতি বলার কে? তাকে সাফ জানিয়েছি টিকিট না দিলে দেবেন না। মুখ্যমন্ত্রী দলের সব। অথচ, সমস্ত বিধায়কদের সামনে আমাকে ধমক দেওয়া, অসম্মান করা হয়েছে।’’
বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতি নিয়ে তাঁর প্রশ্নে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়েছে দলীয় নেতৃত্বকে। এদিন করিম বলেন, ‘‘বাড়ির মালিক উপস্থিত থাকলে বাড়ি সরগরম থাকে। বিধানসভায় মুখ্যমন্ত্রীর উপস্থিতিও সেইরকমই। তাঁর কাছে সেই অনুরোধ রাখতেই নেতৃত্বকে বলেছিলাম।’’ এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেন, ‘‘রাজ্য সভাপতিই যা বলার বলেছেন। তা নিয়ে আর বলার কিছু থাকতে পারে না।’’