গ্রাফিক: সনৎ সিংহ।
ধারালো অস্ত্র দিয়ে স্ত্রীর গলায় বার বার কোপ মেরে খুনের অভিযোগ উঠল কোলাঘাটের এক যুবকের বিরুদ্ধে। স্ত্রীকে খুনের পর তিনিও বিষ খেয়ে আত্মঘাতী হন বলে অভিযোগ। সোমবার সকালে এই ঘটনায় প্রতিবেশীদের দাবি, স্ত্রী শম্পা মান্না (৩১) পরকীয়ার জড়িত সন্দেহেই এই কাণ্ড করেছেন শঙ্কর মান্না (৩৬)। তদন্তে নেমে ঘটনার আসল কারণ খুঁজছে কোলাঘাট থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে খবর, শঙ্করদের বাড়ি পূর্ব মেদিনীপুরের কোলাঘাট থানা এলাকার দেনান গ্রামে। সোমবার সকাল সাড়ে ১১টা নাগাদ শম্পাকে খুন করে শঙ্কর আত্মঘাতী হন বলে মনে করা হচ্ছে।
স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, এলাকায় একটি সেলুন ছিল শঙ্করের। দেনান গ্রামে শ্বশুরবাড়ির পাশেই একতলা বাড়িতে থাকতেন তাঁরা। দম্পতির এক ছেলে এবং এক মেয়ে রয়েছে।
প্রতিবেশীদের দাবি, ঘরের বাইরে বিশেষ পা রাখতেন না শম্পা। তবে সন্দেহের বশে স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়শই ঝগড়াঝাঁটি করতেন শঙ্কর। সোমবার সকালে তা চরমে ওঠে। অভিযোগ, সোমবার সকালে নিজের সেলুন বন্ধ করে বাড়িতে ফিরে আসেন শঙ্কর। এর পর মেয়েকে কিছু কিনে আনার জন্য বাড়ির বাইরে পাঠিয়ে দেন। সে সময় তাঁর ছেলেও বাড়িতে ছিল না। এর পর ঘরের দরজা বন্ধ করে শম্পার গলায় ধারালো অস্ত্র নিয়ে বার বার কোপ মারতে থাকেন। স্ত্রীর মৃত্যুর পর নিজেও বিষ খেয়ে ছটফট করতে থাকেন। সে সময় বাড়িতে ঢোকে তাঁর ছেলেমেয়ে। দরজা বন্ধ দেখে ধাক্কাধাক্কি করতে থাকায় টলতে টলতে তা খুলে দেন শঙ্কর। বাবার এই অবস্থা দেখে পাড়াপ্রতিবেশীদের জড়ো করে ছেলেমেয়ে। তাঁরাই দু’জনকে তমলুক জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে দু’জনকেই মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা।
এই ঘটনায় স্থানীয় আমলহান্ডা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য শেখ ইমরান মোড়লের দাবি, ‘‘পারিবারিক বিবাদের জেরেই এমন ঘটনা বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। শঙ্করের সঙ্গে মাঝেমধ্যেই তাঁর স্ত্রীর ঝামেলা চলত। তবে ঠিক কী কারণে এত বড় কান্ড ঘটাল শঙ্কর, তা স্পষ্ট নয়।’’
পুলিশ সূত্রে খবর, তমলুক হাসপাতালে দেহদু’টির ময়নাতদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে রক্তমাখা ধারালো অস্ত্রটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে ঠিক কি কারণে এমন ঘটনা, তা খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারীরা।