TMC

West Bengal Municipality Election: চন্দননগরে জয়ী সাউ দম্পতি, তৃণমূলের টিকিটে লড়ে বাড়িয়ে নিয়েছেন ভোটও

চন্দননগর পুরনিগমের সাউয়েরাই একমাত্র পরিবার, যাদের দু’জনকে একসঙ্গে পুরনির্বাচনের টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৪ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৬:৫৭
Share:

ঋতুপর্ণা এবং শুভজিৎ সাউ। —নিজস্ব চিত্র।

একই দিনে জোড়া কাউন্সিলর পেল চন্দননগরের সাউ পরিবার। সোমবার চন্দননগর পুরনিগমের নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর দেখা যায়, জিতেছেন সাউ দম্পতি— ঋতুপর্ণা এবং শুভজিৎ। শাসকদলের নেত্রী ঋতুপর্ণার জয় এসেছে ১২ নম্বর ওয়ার্ডে। পাশের ওয়ার্ডে জিতেছেন ঋতুপর্ণার স্বামী তথা তৃণমূলেরই শুভজিৎ সাউ। ফলে গত বারের মতো এ বারও জয়ের রেকর্ড বজায় রাখলেন তাঁরা।

Advertisement

প্রসঙ্গত, চন্দননগর পুরনিগমের সাউয়েরাই একমাত্র পরিবার, যাদের থেকে দু’জনকে একসঙ্গে পুরনির্বাচনের টিকিট দিয়েছিল তৃণমূল। যদিও গত বার ১৬ নম্বর ওয়ার্ড থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন শুভজিৎ। এ বার তাঁকে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডে টিকিট দেয় দল। তবে দলীয় নেতৃত্বের আস্থার মর্যাদা রেখেছেন দু’জনেই। ঋতুপর্ণা জয়ী হয়েছেন ১ হাজার ৭৫২ ভোটে। অন্য দিকে, ৬৩২ ভোটে ওয়ার্ড ছিনিয়ে নিয়েছেন শুভজিৎ। দু’জনেরই ভোট বেড়েছে। শুভজিতের ওয়ার্ডে গত বার জয়ের ব্যবধান ছিল ৫০০ ভোটের। যা এ বার হয়েছে ৬৩২। অন্য দিকে, ঋতুপর্ণার ওয়ার্ডে ছিল ৮০০। তা বেড়ে এ বার ১ হাজার ৭৫২ হয়েছে।

রাজনীতিতে আনকোরা নয় চন্দননগরের সাউ পরিবার। শুভজিতের বাবা অশোক সাউ চন্দননগরের প্রাক্তন বিধায়ক ছিলেন। এককালে এখানকার মেয়র হিসাবেও দায়িত্ব সামলেছেন তিনি। স্বাভাবিক ভাবেই ছোটবেলা থেকে রাজনৈতিক পরিবেশে বড় হয়েছেন শুভজিৎ। ছাত্রাবস্থায় সক্রিয় রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত তিনি। সে সময় তৃণমূলের ছাত্র সংগঠন টিএমসিপি-র হুগলি জেলা সভাপতি ছিলেন শুভজিৎ। পরে কাউন্সিলরও হন। সোমবারের ফলাফলের পর স্বাভাবিক ভাবেই আপ্লুত তিনি। শুভজিতের দাবি, জয় নিয়ে নিশ্চিত ছিলেন। তাঁর কথায়, ‘‘আমরা ৩৬৫ দিন সাধারণ মানুষের পাশে থাকি। মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনমুখী প্রকল্পের সুবিধা যাতে মানুষের কাছে পৌঁছে যায়, সে দিকেও নজর রয়েছে। আমরা জানি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি আর জোড়াফুল চিহ্ন দেখলে জনতা সমর্থন পাব। তাই পুরভোটে জয় নিয়ে কোনও চিন্তা ছিল না।’’

Advertisement

স্বামীর মতোই আত্মবিশ্বাসী শুনিয়েছেন ঋতুপর্ণার কণ্ঠ। তিনি বলেন, ‘‘শ্বশুরবাড়িতে রাজনৈতিক পরিবেশ রয়েছে। তাই কখনও অসুবিধা হয় না। রাজনীতির অনেক বিষয়ে সাহায্য করেন স্বামী। শ্বশুরমশাইও পরামর্শ দেন। গতবার প্রথম কাউন্সিলর হিসাবে কাজ করেছি। এ বার কিছুটা অভিজ্ঞতা হয়েছে। ১২ নম্বর ওয়ার্ডে আমার শ্বশুর এক সময় কাউন্সিলর ছিলেন। তাই সেই ওয়ার্ড আমার বাড়ির মতো। সব রকম নাগরিকদের পাশে থাকতে, সহযোগিতা করতে চেষ্টা করব।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement