ছবি: সংগৃহীত।
বিভিন্ন সরকারি পদে প্রায় দু’হাজার নিয়োগের সিদ্ধান্তে সায় দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা। সোমবার নবান্নে মন্ত্রিসভার বৈঠকে বিভিন্ন দফতরে নিয়োগের প্রস্তাব আনা হয়েছিল। আপাতত পুলিশ, স্বাস্থ্য, শিক্ষা-র মতো কিছু দফতরে নিয়োগ হবে। তবে নতুন তৈরি হওয়া পদ নয়। দীর্ঘদিন ফাঁকা থাকায় ওই বিভাগগুলির কাজ চালাতে সমস্যা হচ্ছিল। সেই কারণেই এই নিয়োগ। মন্ত্রিসভা সূত্রে এই খবর জানা গিয়েছে।
এ দিনের বৈঠকে যে শূন্যপদগুলি পূরণের প্রস্তাব এসেছে, তার প্রায় অর্ধেকের বেশি পুলিশে। সূত্রের দাবি, টেলিফোন অপারেটর, ওয়্যারলেস অপারেটর পদে এক হাজারের কিছু বেশি নিয়োগ করার প্রস্তাব নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যের বেশ কিছু বিভাগেও কয়েকশো লোক নিয়োগ হবে।
জানা গিয়েছে, এসএসকেএম হাসপাতালে এন্ডোক্রিনোলজি বিভাগটিকে ইনস্টিটিউট অব এন্ডোক্রিনোলজি-তে পরিণত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে মন্ত্রিসভা। এই নতুন শাখায় লোক নিয়োগের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। ওই হাসপাতালেরই স্পোর্টস মেডিসিন বিভাগে নিয়োগের প্রস্তাবে সায় দিয়েছে মন্ত্রিসভা। শিশুশল্য বিভাগে প্রত্যেক রোগীকে দেখভালের জন্য নিয়োগ করবে রাজ্য। এ দিন তাতেও ছাড়পত্র দিয়েছে মন্ত্রিসভা।
আরও পড়ুন: পুরভোটের কী খবর? কমিশনারকে ডাক রাজ্যপালের, হিংসার বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারিও
গত মাস থেকেই কর্মচারীদের বর্ধিত বেতন দিতে শুরু করেছে সরকার। ফলে নিয়োগের ক্ষেত্রে একপ্রকার এমবার্গো জারি করার কথা অর্থ দফতরের বিবেচনায় ছিল। স্থায়ী পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে একেবারেই জরুরি না হলে নিয়োগে অনুমতি দিচ্ছিল না অর্থ দফতর। এমনকি শিক্ষা, পরিবহণ দফতরেও চুক্তিতে নিযুক্ত কর্মীদেরও নবীকরণের ক্ষেত্রে কড়া মনোভাব নিয়েছে অর্থ দফতর।
অর্থ দফতরের এক কর্তা জানান, নতুন পদে নিয়োগের সম্ভাবনা আপাতত নেই। পুরনো পদ পূরণের ক্ষেত্রেও সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে। বেতন যা বেড়েছে, তাতে নতুন আর্থিক বোঝা বহনের ক্ষমতা রাজ্যের নেই। পুলিশের যে পদগুলিতে নিয়োগের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তা অপরিহার্য ছিল। স্বাস্থ্য দফতরের ক্ষেত্রেও তাই। পুরসভাগুলিকে সচল রাখতে গত বৈঠকেও কমবেশি দেড়শো পদে নিয়োগের ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছিল। পরিবহণেও প্রায় ৯০০ নিয়োগের অনুমতি দিয়েছিল মন্ত্রিসভা। অর্থকর্তারা জানাচ্ছেন, এর সঙ্গে আসন্ন পুরভোটের কোনও সম্পর্ক নেই।