Chrismas

Chrismas Day ক্রিসমাসে ঊষা-বড়দিনে পা, যথা ইচ্ছা তথা যা, ডুয়ার্স থেকে সাগরতটে ভিড় পর্যটকদের

ইয়াসের ক্ষত সারিয়ে নতুন রূপে সেজেছে সমুদ্রসৈকত। দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুরে নতুন রূপে পেয়ে খুশি পর্যটক থেকে ব্যবসায়ী সকলেই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ২৫ ডিসেম্বর ২০২১ ১৭:৫৮
Share:

দিঘায় পর্যটকদের ভিড়। —নিজস্ব চিত্র।

শনিবার বড়দিন। ছুটি রবিবারও। এই দু’দিনের রসদ দিয়েই তৈরি হয়েছে উৎসবের আবহ। ডুয়ার্স থেকে সমুদ্রসৈকত, সর্বত্রই ভিড় পর্যটকদের। কেউ গিয়েছেন বেড়াতে। আবার কেউ মেতে উঠলেন বনভোজনে।
ইয়াসের ক্ষত সারিয়ে নতুন রূপে সেজেছে সমুদ্রসৈকত। দিঘা, মন্দারমণি, তাজপুর, শঙ্করপুরে নতুন রূপে পেয়ে খুশি পর্যটক থেকে ব্যবসায়ী সকলেই। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত দু’বছর নিয়মিবধির কড়াকড়ি থাকায় দিঘায় পর্যটকদের এমন ভিড় নজরে আসেনি। পুলিশের আনুমানিক হিসাব শনিবার বেলা পর্যন্ত দিঘায় পিকনিক করতে হাজির হন প্রায় এক লক্ষ মানুষ। যদিও করোনার পূর্বের বছরগুলির তুলনায় তা কিছুটা কম বলেই মনে করছেন প্রশাসনিক আধিকারিকরা।

Advertisement

দিঘা হোটেলিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশানের যুগ্ম সম্পাদক বিপ্রদাস চট্টোপাধ্যায় বলেন, “প্রায় ১৫ দিন আগে থেকেই হোটেলগুলিতে আগাম বুকিং চলছে। বছর শেষের ছুটি কাটাতে মানুষ দিঘামুখী হয়েছেন। করোনা বিধিনিষেধ সম্পূর্ণ মুক্ত হয়নি। তাই হোটেলগুলিকে সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। পর্যটকের আনাগোনা বাড়ায় লোকসান কাটিয়ে হোটেল-সহ অন্যান্য ব্যবসা কিছুটা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।’’

বাঁকুড়ায় বনভোজনে মেতেছেন পর্যটকরা। নিজস্ব চিত্র।

গত এক সপ্তাহ ধরে বাঁকুড়া জেলায় ক্রমশই নামছিল তাপমাত্রার পারদ। সেই পারদ-পতনে কিছুটা লাগাম পড়লেও বড়দিনের উচ্ছ্বাসে তার প্রভাব পড়ল না। বরং উল্টোছবি দেখা গেল মুকুটমণিপুর, শুশুনিয়া সহ অন্যান্য পর্যটনকেন্দ্রগুলি। শুশুনিয়া এবং মুকুটমণিপুরে সারা বছর ভিড় লেগে থাকে পর্যটকদের। শীতকালে সেই সংখ্যা বৃদ্ধি পায় কয়েকগুণ। গত দু’বছর ধরে করোনা আতঙ্কে সেই চেনা ছবি উধাও হয়ে গিয়েছিল। এ বার অবশ্য সেই ছবি বদলে গিয়েছে। খরা কাটিয়ে শুশুনিয়া এবং মুকুটমণিপুরে ফের জমজমাট ভিড়।

Advertisement

এমন ছবি ধরা পড়েছে ডুয়ার্সেও। মূর্তিতে তিল ধারণের ঠাঁই নেই। শনিবার মূর্তি ছাড়াও ভিড় দেখা গিয়েছে ডুয়ার্সের চাপড়ামারি, জলদাপাড়া, গরুমারা, লালঝামেলা বস্তি-সহ বিভিন্ন এলাকায়। এমন ভিড়ে খুশি পর্যটক থেকে স্থানীয় ব্যবসায়ী সকলেই।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement