মেদিনীপুর সদরে বাজেয়াপ্ত নিষিদ্ধ বাজি। —নিজস্ব চিত্র।
আদালতের নির্দেশই সার! রাজ্যের একাধিক জেলায় এখনও রমরমিয়ে চলছে নিষিদ্ধ বাজি তৈরির কাজ। আদালতের নির্দেশ পালনে সোমবার মেদিনীপুর এবং আসানসোলের রানিগঞ্জ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে প্রচুর নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করল পুলিশ। শুধুমাত্র মেদিনীপুরেই ১ কুইন্ট্যালের বেশি বাজি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে কোতোয়ালি পুলিশ সূত্রে খবর। অন্য দিকে, রানিগঞ্জে নিষিদ্ধ বাজি-সহ এক বিক্রেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত বুধবার অভিযান চালিয়ে মেদিনীপুর সদর ব্লকের ছেরুয়া গ্রাম থেকে প্রায় ২ কুইন্টাল বাজি বাজেয়াপ্ত করেছিল কোতোয়ালি থানার পুলিশ। পাশাপাশি, মেদিনীপুর শহরের বেশ কিছু বাজির দোকান এবং গুদাম থেকেও বাজি বাজেয়াপ্ত করেছিল। সোমবার ফের ছেরুয়া গ্রামে অভিযান চালানো হয়।
মেদিনীপুর সদর ব্লকের ছেরুয়া গ্রামে চলছে অভিযান। —নিজস্ব চিত্র।
পুলিশের দাবি, ছেরুয়া গ্রামে ঢোকার মুখেই পুলিশের গতিবিধি নজরে রাখেন কয়েক জন ব্যক্তি। তাঁরাই নিষিদ্ধ বাজি বিক্রেতাদের পুলিশ আসার খবর দিয়ে দেন। এলাকায় পুলিশের ক’টি গাড়ি ঢুকল বা সাদা পোশাকে পুলিশ ঢুকছে কি না, সে খবর পেলেই তড়িঘড়ি নিষিদ্ধ বাজি সরিয়ে ফেলার কাজ শুরু হয়ে যায়। এমনকি পুকুরের জলে বস্তাবন্দি করেও বাজি লুকিয়ে রাখা হয়। তবে সোমবারের অভিযানে একাধিক দোকানে অভিযান চালিয়ে প্রচুর পরিমাণে শব্দ বাজি ও নিষিদ্ধ বাজি বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
অন্য দিকে, রানিগঞ্জের রাজারবাঁধ এলাকায় সোমবার সন্ধ্যায় পুলিশ অতর্কিত অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ বাজি-সহ শেখ জাহিদ নামে এক বিক্রেতাকে গ্রেফতার করেছে।
প্রসঙ্গত, আসন্ন কালীপুজোয় সমস্ত বাজি বিক্রি ও পোড়ানো নিষিদ্ধ করেছিল কলকাতা হাই কোর্ট। তবে সোমবার এক আবেদনের শুনানিতে পরিবেশবান্ধব বাজিতে ছাড় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। যদিও শব্দ বাজি-সহ অন্যান্য বাজিতে নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে।