সিপির চিঠি পাওয়ার পর শুভেন্দু জানিয়েছেন, আপাতত তিনি হাওড়ায় যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করছেন। ফাইল চিত্র ।
হাওড়ার কয়েকটি জায়গায় পরিদর্শনে যেতে চান তিনি। এ কথা জানিয়ে হাওড়ার পুলিশ কমিশনারকে রবিবার একটি চিঠি পাঠিয়েছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। কিন্তু তাঁকে হাওড়ার ওই বিশেষ জায়গাগুলিতে না আসার অনুরোধ করে মঙ্গলবার পাল্টা চিঠি পাঠালেন সিপি প্রবীণ ত্রিপাঠী। ওই চিঠিতে তিনি শুভেন্দুকে জানিয়েছেন, আপাতত ওই সমস্ত জায়গায় ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে। তা উঠে যাওয়ার পরেই যেন শুভেন্দু পরিদর্শনে আসেন।
এর আগে শুভেন্দু দাবি করেছিলেন, গত ২ এপ্রিল তিনি হাওড়ার শিবপুরের কয়েকটি এলাকায় যাওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করে পুলিশ কমিশনারকে ফোন ও মেসেজ করে কথা বলতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করতে না পারায়, তিনি চিঠি লিখে শিবপুর যাওয়ার কথা সিপি-কে জানান বলে দাবি করেন বিরোধী দলনেতা। মঙ্গলবার সিপি সেই চিঠিরই জবাব দিয়েছেন বলে বিজেপি শিবিরের দাবি।
প্রবীণের পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, বর্তমান পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে হাওড়ার বিশেষ কিছু এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। এই মুহূর্তে বিরোধী দলনেতা ওই জায়গাগুলিতে পরিদর্শনে গেলে সেখানে তাঁর সমর্থক, সাধারণ মানুষ এবং সংবাদমাধ্যমের ভিড় হতে পারে। এর ফলে ১৪৪ ধারার নিয়ম লঙ্ঘিত হবে এবং এলাকায় নতুন করে উত্তেজনা তৈরি হতে পারে। তবে ১৪৪ ধারা উঠে গেলে শুভেন্দু হাওড়া পরিদর্শনে যেতে পারবেন বলেও ওই চিঠিতে জানিয়েছেন সিপি।
সিপির চিঠি পাওয়ার পর শুভেন্দু জানিয়েছেন, আপাতত তিনি হাওড়ায় যাওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করছেন। তাঁর দাবি, বর্তমানে পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। তবে ১৪৪ ধারা উঠে গেলেই তিনি হাওড়ার কয়েকটি এলাকায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করবেন বলেও জানিয়েছেন বিরোধী দলনেতা।
রামনবমীর মিছিল ঘিরে হাওড়ার বিভিন্ন এলাকায় যে অশান্তির আবহ তৈরি হয়েছিল। কয়েকটি এলাকায় প্রশাসনের তরফে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়। শুভেন্দু হাওড়ার দু’টি জায়গায় যেতে চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থও হয়েছিলেন। তবে হাওড়ার পুলিশ কমিশনারের চিঠি পাওয়ার পর তিনি ওই মামলা প্রত্যাহার করেছেন বলে বিজেপি সূত্রে জানা গিয়েছে।