পারিবারিক অশান্তির জেরে কোদাল দিয়ে কুপিয়ে ঘুমন্ত স্বামীকে খুনের অভিযোগে এক মহিলাকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
সোমবার রাতে সিঙ্গুরের বোড়াই পহলমপুরের বাসিন্দা দিলীপ পাত্র (৪৫) নামে ব্যক্তির রক্তাক্ত দেহ তাঁর ঘর থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। তাঁর ভাইপোর অভিযোগের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় নিহতের স্ত্রী পূর্ণিমাকে। পুলিশের দাবি, জেরায় মহিলা অপরাধের কথা কবুল করেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দিলীপবাবু চাষাবাদ করতেন। বছর আটেক আগে তাঁর বিয়ে হয়। দম্পতির এক ছেলে, এক মেয়ে। দীর্ঘদিন ধরে নানা কারণে দম্পতির মধ্যে অশান্তি চলছিল। সোমবার দুপুরেও দু’জনের বচসা বাধে। রাত পর্যন্ত তা চলে দফায় দফায়। রাত ১০টা নাগাদ খাওয়া-দাওয়া সেরে দিলীপবাবু ছেলেমেয়েদের নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। অভিযোগ, সেই সময় কোদাল দিয়ে স্বামীর মাথা, গলায় পর পর আঘাত করেন পূর্ণিমা। দিলীপবাবুর মাথা ফেটে যায়। রক্তে বিছানা ভেসে যায়। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।
খবর পেয়ে ওই রাতেই সিঙ্গুর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দিলীপবাবুর মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য শ্রীরামপুর ওয়ালশ হাসপাতালে পাঠায়। নিহতের ভাইপো শুভ পাত্র কাকিমার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গলবার পূর্ণিমাকে চন্দননগর আদালতে হাজির করানো হয়।
পুলিশ জানায়, ধৃত মহিলা স্বামীকে খুনের কথা স্বীকার করেছেন। ঘটনার পরে তিনি পালানোর চেষ্টা করেননি। মনে হচ্ছে রাগের বশেই তিনি ওই ঘটনা ঘটিয়ে ফেলেছেন।’’ নিহতের ভাগ্নে রবীন দে বলেন, ‘‘মামার রোজগার কম ছিল। সংসার চালাতে কষ্ট হত। মূলত সেই কারণেই মাঝেমধ্যেই মামিমার সঙ্গে ঝগড়া হত। মামিমা আগেও এক বার বাঁশ দিয়ে মেরে মামার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিল। কিন্তু এ ভাবে যে একে বারে প্রাণে মেরে ফেলবে ভাবিনি।’’