গুড়াপের দুলাল স্মৃতি সংসদের আবাসিক গুড়িয়া হত্যা মামলায় বৃহস্পতিবার আদালতে সাক্ষ্য দিলেন ওই হোমের তৎকালীন প্রোজেক্ট অফিসার আশুতোষ খাটুয়া।
এ দিন চুঁচুড়া জেলা আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক (ফাস্ট কোর্ট) অরূপ বসুর এজলাসে দাঁড়িয়ে তিনি জানালেন, হোমের সম্পাদক উদয়চাঁদ কুমারের ঘনিষ্ঠ শ্যামল ঘোষ হোমের কর্মী ছিল না, কিন্তু উদয়চাঁদের সঙ্গে দেখা করতে সে ঘনঘন হোমে আসত। কোর্টে উপস্থিত সব আসামীদের তিনি চেনেন বলেও আদালতকে জানান আশুতোষবাবু। এর পরে তিনি যোগ করেন, ‘‘ওই হোমে মানসিক প্রতিবন্ধী এবং অসহায় মহিলারা থাকতেন। উদয়চাঁদ এবং শ্যামল ঘোষ মেয়েদের উপর মাঝে মধ্যেই অত্যাচার করত। মারধরও করত বিভিন্ন সময়।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘গুড়িয়াকে খুন করা হয়েছিল এবং পুঁতে দেওয়া হয়েছিল বলে শুনেছিলাম, এও শুনেছিলাম যে উদয় এবং শ্যামলই গুড়িয়াকে হত্যা করেছিল।’’
দু’বছর আগে গুড়াপের খাজুরদহ-মিল্কি এলাকার ওই হোম চত্বরে মাটি খুঁড়ে গুড়িয়া নামে সেখানকার বছর বত্রিশের আবাসিক, মানসিক ভারসাম্যহীন এক মহিলার দেহ উদ্ধার হয়। তাঁকে খুন করে মৃতদেহ পুঁতে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। চিকিৎসকের সই জাল করে ‘ডেথ সার্টিফেকেট’ তৈরি করে গুড়িয়ার মৃত্যু স্বাভাবিক বলে দেখানোর চেষ্টা হয় বলেও অভিযোগ। ওই ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি তোলপাড় হয়, মূল অভিযুক্ত উদয়চাঁদ এবং শ্যামল ঘোষ ছাড়াও আরও আটজন গ্রেফতার হয়। ১০ জনের বিরুদ্ধেই আদালতে চার্জশিট দাখিল করে সিবিআই।
সম্প্রতি চুঁচুড়া আদালতে মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ পর্ব শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই হোমের তৎকালীন সুপার বুলবুল চৌধুরী, চিকিৎসক কাঞ্চন মল্লিক-সহ বেশ কয়েক জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। তাঁদের অনেকেই আদালতে জানিয়েছেন যে মূল অভিযুক্ত উদয়চাঁদ এবং শ্যমল আবাসিক মেয়েদের উপর অত্যাচার করত।