চুঁচুড়া থেকে ত্রিবেণী যাওয়ার রাস্তার অবস্থা এতটাই খারাপ যে স্থানীয় বাসিন্দারা এই পথ দিয়ে চলতে ভয় পান। রাস্তার মধ্যে তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। অভিযোগ, খানা খন্দে ভরা এই রাস্তায় বিপদের আশঙ্কা নিয়েই পথ চলতে হয় সাধারণ মানুষকে। বিশেষ করে ব্যান্ডেল চার্চ, সাহাাগঞ্জ কেওটা কুলতলা, কাঁসারীপাড়া, টায়ার বাগান, বটতলা কলোনী পীরতলা এলাকার রাস্তার অবস্থার এতটাই বেহাল যে দূঘর্টনা এখানকার নিত্যসঙ্গী হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবু নিবির্কার প্রশাসন বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। তাই রাস্তা সারানোর দাবীতে স্থানীয় বাসিন্দারা সোমবার স্মারকলিপি জমা দিলেন পুরপ্রধানের কাছে।
এই রাস্তার পাশেই রয়েছে বেশ কয়েকটি নামী স্কুল। তাছাড়া ব্যান্ডেল চার্চ, ইমামবাড়া, হংসেশ্বরী মন্দিরের মতো কিছু দ্রষ্টব্য জায়গা। যেখানে প্রায়শই দর্শনার্থীদের আনাগোনা লেগেই থাকে। শুধু এলাকার মানুষ নয় বাইরে থেকে আসা দর্শনার্থীরাও বহুবার দূর্ঘটনার কবলে পড়েছেন এই রাস্তায়। স্কুল যাতায়াত করতে গিয়ে ছাত্রছাত্রীদেরও এই রাস্তায় যথেষ্ট সমস্যা হয়। কারণ রাস্তা খারাপের ফলে সময়মতো স্কুলে পৌঁছনোর জন্য বাড়ি থেকে অনেক আগেই বেরিয়ে পড়তে হয় তাদের। তাছাড়া এই রাস্তায় রিকশা গর্তে পড়ে যাওযার ঘটনা নতুন নয়। বৃষ্টি হলে তো দুর্ভোগের শেষ থাকে না মানুষের।
জিটি রোড তিনমাস বন্ধ থাকার ফলে এই রাস্তাগুলি দিয়েই ভারী যান চলাচল করে বলে এই রাস্তাগুলির এমন অবস্থা হয় বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর। স্থানীয় বাসিন্দা সমর চট্টোপাধ্যায় বলেন, “ব্যান্ডেলের ওই নিকাশি নালা সংস্কার করে নতুন সেতু তৈরির জন্য জিটি রোড বন্ধ থাকে। ফলে ভারি যানবাহনগুলি এই রাস্তার উপর দিয়ে যাতায়াত করে। যার ফলেই রাস্তার এমন অবস্থা।”
এ প্রসঙ্গে হুগলি চুঁচুড়া পুরসভার পুরপ্রধান গৌরিকান্ত মুখোপাধ্যায় বলেন, “মাত্র কয়েকদিনের মধ্যেই ব্যান্ডেল মোড়ের কাজটি শেষ হয়ে যাবে। রাস্তাও খুব শীঘ্রই খুলে দেওয়া হবে। তবে আপাতত বিপদ এড়াতে ভিতরের খারাপ রাস্তাগুলিকে প্রাথমিকভাবে সারিয়ে দেওয়া হবে।”