মুক্তিরচক গণধর্ষণ মামলা

মেলেনি রিপোর্ট, স্থগিত শুনানি

ফরেন্সিক রিপোর্ট না আসায় স্থগিত হয়ে গেল আমতার মুক্তিরচক গণধর্ষণ মামলার শুনানি। বৃহস্পতিবার আমতা আদালতে এই মামলার শুনানির শুরুতেই অভিযুক্তদের আইনজীবী বিমল রক্ষিত বিচারকের কাছে তাঁর আবেদনে জানান, ফরেন্সিক রিপোর্ট এবং ডিএনএ পরীক্ষা ও ‘বাইট মার্ক’-এর রিপোর্ট এখনও আসেনি।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আমতা শেষ আপডেট: ১৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৫ ০১:১১
Share:

ফরেন্সিক রিপোর্ট না আসায় স্থগিত হয়ে গেল আমতার মুক্তিরচক গণধর্ষণ মামলার শুনানি।

Advertisement

বৃহস্পতিবার আমতা আদালতে এই মামলার শুনানির শুরুতেই অভিযুক্তদের আইনজীবী বিমল রক্ষিত বিচারকের কাছে তাঁর আবেদনে জানান, ফরেন্সিক রিপোর্ট এবং ডিএনএ পরীক্ষা ও ‘বাইট মার্ক’-এর রিপোর্ট এখনও আসেনি। ফলে নির্যাতিতাদের জেরা করতে তাঁর অসুবিধা হচ্ছে। এই অবস্থায় বিচারকের কাছে তিনি এই সব রিপোর্ট না আসা পর্যন্ত শুনানি স্থগিত রাখার আবেদন জানান। আবেদনে সাড়া দিয়ে বিচারক শ্যামলকুমার রায়চৌধুরী আগামী ১৯ তারিখ পর্যন্ত শুনানি স্থগিত রাখার নির্দেশ দেন। আগামী ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে ফের শুনানি হবে বলে নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।

এ দিন সকাল ১১টা থেকে শুনানি শুরু করার কথা ছিল। সেই অনুযায়ী সকলেই হাজির হয়ে যান। এ দিন নির্যাতিতা গৃহবধূকে জেরা করার কথা ছিল। সরকারি আইনজীবী সিদ্ধার্থ মজুমদার এবং নির্যাতিতাদের আইনজীবী রেজাউল করিম দু’জনেই শুনানি স্থগিত রাখার বিপক্ষে ছিলেন। তাঁরা জানান, ফরেন্সিক রিপোর্ট না পাওয়ার জন্য শুনানি স্থগিত রাখার নিয়ম কোথাও নেই। এর আগেও গত ১৬ ডিসেম্বর ফরেনসিপ রিপোর্ট না পাওয়ার জন্য প্রায় দেড় মাস শুনানি স্থগিত রাখা হয়েছিল। তার পরে ফের শুনানি শুরু হয় গত ১০ ফেব্রুয়ারি।

Advertisement

এ দিকে পুলিশের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ফরেন্সিক রিপোর্ট পাওয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট দফতরে তারা বার বার আবেদন করছে। ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্যেই এই রিপোর্ট হাতে এসে যাবে বলে হাওড়া গ্রামীণ জেলা পুলিশের এক কর্তা জানান।

প্রসঙ্গত ২০১৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি রাতে মুক্তিরচক গ্রামে এক গৃহবধূ এবং তাঁর জেঠশাশুড়িকে গণধর্ষণ করা হয়। বরুণ মাখাল এবং রঞ্জিত মণ্ডল নামে তৃণমূল কংগ্রেসের দুই স্থানীয় নেতা-সহ ১০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে। ৯ জনকে পুলিশ গ্রেফতার করে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement