রাস্তা না ডোবা? ফুলেশ্বর থেকে চেঙ্গাইল যাওয়ার রাস্তা। ছবি: সুব্রত জানা।
বর্ষা এসে গেলেও উলুবেড়িয়া পুর এলাকার অধিকাংশ রাস্তাই এখনও সারানো হল না। ফলে, খানাখন্দে ভরা রাস্তাগুলি বেশি বর্ষণে জলমগ্ন হয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করবে বলে আশঙ্কা করছেন বাসিন্দারা। তাঁদের অভিযোগ, একাধিক বার পুরসভাকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। বছরের পর বছর রাস্তাগুলির কোনও রকম মেরামতিই হয়নি। অবস্থা এতটাই খারাপ যে, সব সময় দুর্ঘটনার আশঙ্কায় থাকতে হয়।
পুর কর্তৃপক্ষ অবশ্য দাবি করেছেন, গত চার বছরে অনেক রাস্তাই সারানো হয়েছে। খারাপ রাস্তাগুলি জরুরি ভিত্তিতে সারানো হবে। পুরসভার চেয়ারম্যান দেবদাস ঘোষের আশ্বাস, “মোট আটটি রাস্তা সারানোর পরিকল্পনা করা হয়েছে। সরকারের কাছে বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট (ডিপিআর) জমা দেওয়া হয়েছে। প্রায় ছ’কোট টাকা খরচ ধরা হয়েছে। সরকারি অনুমোদন পেলেই কাজ শুরু করা হবে।”
বাউড়িয়া স্টেশন থেকে খলিসানি পর্যন্ত প্রেমচাঁদ রোড, বাউড়িয়া থানা রোড, শ্যামসুন্দর চকের রাস্তা, গঙ্গারাম হাইস্কুল থেকে গরুহাটা সেতু, বাউড়িয়া বুড়িখালি থেকে পুকুরধার পর্যন্ত রাস্তাটি-সহ কয়েকটি রাস্তা দীর্ঘদিন ধরেই বেহাল। এর মধ্যে কয়েকটিতে সব সময়েই লোকজনের ভিড় থাকে। তবে, পুরাতন কামারশাল থেকে ৪২ নং ব্রিজ হয়ে যে রাস্তাটি ৬নং জাতীয় সড়কের দিকে চলে গিয়েছে, সেই রাস্তাটি এলাকার মানুষদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। উলুবেড়িয়া লেভেল ক্রসিংয়ের যানজট এড়িয়ে সহজে উলুবেড়িয়া হাসপাতাল, স্কুল, থানা এবং বিভিন্ন সরকারি অফিসে যাতায়াত করা যায়। কিন্তু রাস্তাটি দীর্ঘদিন না সারানোয় দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে। অ্যাম্বুল্যান্সে রোগীদের নিয়ে যাতায়াতেও সমস্যায় পড়েন তাঁদের আত্মীয়েরা।
ওই এলাকার বাসিন্দা শঙ্কর রায়, অনিতা সান্যালরা জানান, ওই রাস্তায় যাতায়াত করতে তাঁদের প্রাণ ওষ্ঠাগত হয়। পুরসভা সব জেনেও চুপ করে রয়েছে বলে তাঁদের অভিযোগ।
পুরসভার প্রাক্তন চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান বলেন, “আমাদের সময়ে চটকল এলাকা থেকে জাতীয় সড়ক পর্যন্ত রাস্তাগুলি মজবুত ভাবে তৈরি করা হয়েছিল। এখন রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে নষ্ট হয়ে গিয়েছে। পুরসভার নজর নেই।”