প্রায় পাঁচ বছর ধরে ইন্দিরা আবাস যোজনার বরাদ্দ উপভোক্তারা যথাযথ ভাবে ব্যবহার করছেন কি না, তা পরিদর্শনের কাজ করেছেন তাঁরা। কিন্তু তার পরেও বকেয়া পারিশ্রমিক মিলছে না বলে অভিযোগ তুলেছেন পাঁচলা ব্লকের সম্পদ-কর্মীরা। তাঁদের অভিযোগ, সংশ্লিষ্ট পঞ্চায়েত ও ব্লক কর্তৃপক্ষকে বারবার জানিয়েও কোনও সুরাহা হয়নি।
ব্লক প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইন্দিরা আবাস যোজনা প্রকল্পে তর্মীদের সঙ্গে বৈঠক বা তাঁদের প্রশিক্ষণের জন্য যে বিশেষ তহবিল (কনটিজেন্সি ফান্ড) বরাদ্দ হয়, তার থেকেই সম্পদ-কর্মীদের পারিশ্রমিক মেটানো হয়। বাড়িপিছু সমীক্ষার জন্য প্রত্যেক সম্পদ-কর্মীকে ২০ টাকা করে দেওয়া হয়। কিন্তু এত দিনেও কেন ওই সম্পদ-কর্মীরা সেই টাকা পাননি, তা খতিয়ে দেখার আশ্বাস দিয়ে যুগ্ম বিডিও সুব্রত মল্লিক বলেন, “আমরা ওই সম্পদ কর্মীদের বাড়ি পরিদর্শনের রিপোর্ট-সহ পাওনার হিসেব জমা দিতে বলেছি। সেগুলি ওঁরা জমা দিলেই বকেয়া মিটিয়ে দেওয়া হবে।”
২০০৯ সালে পাঁচলার অধীন ১১টি পঞ্চায়েতে ২০ জন সম্পদ-কর্মী নেওয়া হয়। তাঁরা পঞ্চায়েতের অধীন স্বনির্ভর গোষ্ঠীর নানা কাজ দেখাশোনা করতেন। ২০১০ সালে তাঁদের পঞ্চায়েত এলাকায় ইন্দিরা আবাস যোজনা প্রকল্পে উপভোক্তারা সরকারি টাকা ঠিকমতো ব্যবহার করছেন কিনা, তা দেখে রিপোর্ট দেওয়ার দায়িত্ব দেয় ব্লক প্রশাসন।
সম্পদ কর্মীরা জানান, প্রশাসনের নির্দেশমতো তাঁদের কেউ তিনশো, কেউ বা দু’শো বাড়ি সমীক্ষার কাজ করেছেন। ফলে, তাঁদের কারও বকেয়া টাকার পরিমাণ ৬ হাজার টাকা কারও বা ৪ হাজার। কিন্তু তাঁরা চার বছর ধরে এই কাজের টাকা পাচ্ছেন না। পঞ্চায়েত এবং ব্লক অফিসে গিয়ে তাঁরা হয়রান হচ্ছেন বলেও অভিযোগ।
ভুক্তভোগী এক সম্পদ কর্মী বলেন, “আমাদের শংসাপত্রের ভিত্তিতে ওই প্রকল্পের বহু উপভোক্তা টাকা পেয়ে বাড়ি তৈরি সম্পূর্ণ করে ফেললেন। অথচ, আমরাই টাকা পেলাম না। আমাদের নতুন করে আবার বাড়ি পরিদর্শন রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছে। সেগুলি শীঘ্রই দেব। দেখি টাকা পাওয়া যায় কি না।” ওই কর্মীদের সমস্যার বিষয়টি দ্রুত খোঁজ নিয়ে ব্লক প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলার আশ্বাস দিয়েছেন পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি আব্দুল জলিল।