নিকাশি বেহাল, বর্ষায় জলবন্দি বাসিন্দারা

হাতে জুতো, বগলে ছাতা, কাঁধে ব্যাগ। এ ভাবেই হাঁটু পর্যন্ত জল ভেঙে কেউ বা যাচ্ছেন অফিসে। কেউ স্কুলে। কারও গন্তব্য বাজার। কর্মস্থল বাদ দেওয়া যাবে না। ফলে বিপদ মাথায় নিয়েই এই পথ দিয়ে প্রত্যেক বর্ষাতে হাওড়া সাঁকরাইলের মাসিলা গ্রামের বাসন্দিারা যাতায়াত করছে। নিকাশি ব্যবস্থায় তবু প্রশাসনের কোনও নজর নেই বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসন্দিাদের।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

সাঁকরাইল শেষ আপডেট: ০৪ সেপ্টেম্বর ২০১৪ ০১:০৬
Share:

জল সরার জায়গা নেই। ফলে নোংরা জল পেরিয়েই যাতায়াত বাসিন্দাদের। ছবি: রমাপ্রসাদ গঙ্গোপাধ্যায়।

হাতে জুতো, বগলে ছাতা, কাঁধে ব্যাগ। এ ভাবেই হাঁটু পর্যন্ত জল ভেঙে কেউ বা যাচ্ছেন অফিসে। কেউ স্কুলে। কারও গন্তব্য বাজার। কর্মস্থল বাদ দেওয়া যাবে না। ফলে বিপদ মাথায় নিয়েই এই পথ দিয়ে প্রত্যেক বর্ষাতে হাওড়া সাঁকরাইলের মাসিলা গ্রামের বাসন্দিারা যাতায়াত করছে। নিকাশি ব্যবস্থায় তবু প্রশাসনের কোনও নজর নেই বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসন্দিাদের।

Advertisement

মাসিলা গ্রাম পঞ্চায়েতের অন্তর্গত এই গ্রামের গড়মীর্জাপুর, নন্দীবাগান, সাজিপাড়া, মান্নাপাড়া-সহ বেশ কিছু এলাকা বর্ষার প্রথম থেকেই জলবন্দি হয়ে থাকে বলে অভিযোগ এলাকার মানুষের। তা ছাড়া দীর্ঘদিন রাস্তাগুলি জলে ডুবে থাকার ফলে রাস্তার পিচ উঠে গিয়েছে। স্টোন চিপসগুলি যত্রতত্র ছড়িয়ে রয়েছে। অধিকাংশ জায়গায় বড় বড় গর্ত হয়ে গিয়েছে। এই অবস্থায় জল ভেঙে যাতায়াত করতে গিয়ে প্রায়শই ঘটছে দূর্ঘটনা। কিন্তু প্রশাসন থেকে কোনও ব্যবস্থাই নেওয়া হচ্ছে না বলে জানায় এলাকাবাসী। এ প্রসঙ্গে গ্রাম পঞ্চায়েত প্রধান আজিমা বেগম বলেন, “টাকাপয়সার অভাবে ১০০ দিনের কাজ প্রায় বন্ধ। তবে টাকা জোগাড়ের চেষ্টা চালানো হচ্ছে। টাকা এলেই ড্রেন বা নালাগুলি সংস্কারের কাজ শুরু করা হবে।” গড়মির্জাপুরের পাম্প হাউসটি বর্ষার প্রথম থেকেই জলমগ্ন। এখানে একহাঁটু জল ভেঙে পাম্প কর্মচারীকে বারে বারে পাম্প অপারেটিং করতে যেতে হয়। ফলে সমস্যা বাড়ছে।

অথচ এই ভাঙা রাস্তাটি দিয়েই চলছে রিক্সা, মোটর বাইক, সাইকেল, ইঞ্জিন ভ্যান ইতা্যদি। প্রত্যেকদিন প্রায় হাজার হাজার স্কুলের ছেলেমেয়ে অফিস যাত্রীদের এই পথ দিয়েই যাতায়াত করতে হচ্ছে। এ বিষয়ে নন্দলাল মুখোপাধ্যায় নামে এলাকার এক বাসিন্দা বলেন, “এলাকায় নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হয়ে যাওয়ার জন্য এখানে জল সরতে পারছে না। ফলে এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ছে। জল জমার কারণ বাড়ছে সাপ, মশা, ব্যঙের উপদ্রব।” স্থানীয় বাসিন্দদের দাবি, দীর্ঘদিন ধরে এলাকার নিকাশি নালাগুলি পরিষ্কার করা হয় না বলে এত জল জমছে। এ ছাড়া নয়ানজুলিগুলি ভরাট করে তৈরি হচ্ছে একের পর এক বাড়ি, হোটেল। সেই কারণেও নিকাশি ব্যবস্থা বেহাল হয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ। সমস্যাটি একাধিকবার প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি বলে অভিযোগ এলাকার লোকজনের।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement