জোর করে ধান কাটার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে

সিপিএম নেতার পরিবারের তত্ত্বাবধানে থাকা দেবোত্তর সম্পত্তির জমি থেকে জোর করে ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কিছু কর্মীর বিরুদ্ধে। আরামবাগের কীর্তিচন্দ্রপুরে এই অভিযোগ উঠেছে। গ্রামের তৃণমূল কর্মী হায়দার আলি এবং মীর সাইফুলের নেতৃত্বে সাড়ে ১০ কাঠা জমির ধান কাটা হয়েছে বলে বুধবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই জমির দেখভালের দায়িত্বে থাকা আরামবাগ সিপিএমের জোনাল সদস্য জাহাঙ্গির খন্দকারের ভাই জিগরিয়া খন্দকার। পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আরামবাগ শেষ আপডেট: ২৭ নভেম্বর ২০১৪ ০১:১৩
Share:

সিপিএম নেতার পরিবারের তত্ত্বাবধানে থাকা দেবোত্তর সম্পত্তির জমি থেকে জোর করে ধান কেটে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের কিছু কর্মীর বিরুদ্ধে। আরামবাগের কীর্তিচন্দ্রপুরে এই অভিযোগ উঠেছে। গ্রামের তৃণমূল কর্মী হায়দার আলি এবং মীর সাইফুলের নেতৃত্বে সাড়ে ১০ কাঠা জমির ধান কাটা হয়েছে বলে বুধবার থানায় অভিযোগ দায়ের করেন ওই জমির দেখভালের দায়িত্বে থাকা আরামবাগ সিপিএমের জোনাল সদস্য জাহাঙ্গির খন্দকারের ভাই জিগরিয়া খন্দকার। পুলিশ জানায়, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত শুরু হয়েছে। তবে অভিযুক্তরা পলাতক। কাটা ধানেরও হদিস মেলেনি।

Advertisement

অভিযুক্ত হায়দার আলির বক্তব্য, “ জোর করে ভোগদখল করা জমি উদ্ধার করা হয়েছে। আমাদের গ্রেফতারের আগে পুলিশ তদন্ত করুক।” সিপিএমের জেলা সম্পাদক মন্ডলীর সদস্য তথা এলাকারই বাসিন্দা মোজাম্মেল হোসেন বলেন, “দলের বিপর্যয় যত নিশ্চিত হচ্ছে, তৃণমূলে অরাজকতা ততই বাড়ছে।”

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৪০ বছর ধরে কীর্তিচন্দ্রপুরে সাড়ে ১০ কাঠার ওই দেবোত্তর জমি চাষাবাদ করছেন সিপিএম নেতা জাহাঙ্গির খন্দকার এবং তাঁর ভাইরা। রাজনৈতিক পালাবদলের পর ২০১২ সাল নাগাদ জমির ফসল কয়েকবার কেটে নেওয়ার চেষ্টা করে স্থানীয় তৃণমূলের ছেলেরা। কিন্তু দলীয় নেতৃত্বের একাংশের বাধায় তা সফল হয়নি। অভিযোগ, দলের নেতাদের আপত্তি সত্ত্বেও মঙ্গলবার তৃণমূলের কিছু কর্মী জমির ধান কেটে নেয়। স্থানীয় তৃণমূল নেতা তথা সংশ্লিষ্ট ৪ নম্বর সংসদের পঞ্চায়েত সদস্য গোলাম আম্বিয়া বলেন, “দলেরই কিছু স্বার্থন্বেষী অন্যদের ভুল বুঝিয়ে দলের ভাবমূর্তি খারাপ করেছে। পুলিশ যাতে আইন মোতাবেক ব্যবস্থা নেয় সেই সুপারিশ করা হয়েছে।”

Advertisement

যদিও ধান কাটায় নেতৃত্ব দেওয়া হায়দার আলির দাবি, “আমরা কোনও অন্যায় করিনি। দেবোত্তর ওই জমি বাম আমল থেকে জোর করে ভোগ করছিলেন জাহাঙ্গির। ওঁরা সেবাইতও নয়। জমির আয় থেকে সংস্কার বা এলাকার উন্নয়নে কোনও টাকাই দিচ্ছিলেন না ওঁরা। সবটাই আত্মসাত করছিলেন। আমরা চাই ওই টাকায় এলাকার উন্নয়ন হোক।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement